
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষ্যে ভোটারদের সচেতন ও উদ্বুদ্ধ করতে সাতক্ষীরায় শুরু হয়েছে ‘ভোটের গাড়ি’র প্রচারণা।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) সকালে সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে ‘ভোটের গাড়ি’র প্রচারণার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মিজ আফরোজা আখতার।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাতক্ষীরা জেলা পুলিশ সুপার জুয়েল আরেফিন, সাতক্ষীরা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ আবুল হাশেম, মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বাসুদেব বসু, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিষ্ণুপদ পাল, জেলা নির্বাচন অফিসার মো. মাসুদুর রহমান, জেলা তথ্য অফিসার জাহারুল ইসলাম এবং সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অর্নব দত্তসহ সরকারি দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শ্রেণি-প্রেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মিজ আফরোজা আখতার বলেন, জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে অসংখ্য শহীদ রক্ত দিয়েছেন। সেই শহীদদের রক্তে রাজপথ রঞ্জিত হয়েছে। এই জাতি শহীদদের রক্তের শপথ নিয়ে একটি নতুন বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখছে। জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের ভিত্তিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সমন্বয় করে সংলাপের মাধ্যমে ‘জুলাই সনদ’ নামে একটি সনদ প্রণয়ন করেছে। এই সনদকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দিতে এই গণভোটের আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ গণভোটে মোট চারটি প্রশ্ন রয়েছে। এর মধ্যে একটি প্রশ্নে বলা হয়েছে, কোনো নির্বাচিত সরকারের অধীনে নয়, নির্বাচনকালীন সরকার ও নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সব বিষয় জুলাই সনদে দেওয়া প্রস্তাবনার ভিত্তিতেই পরিচালিত হবে। এছাড়া বর্তমানে আমাদের সংসদ এক কক্ষ বিশিষ্ট। জুলাই সনদে দুই কক্ষ বিশিষ্ট সংসদের প্রস্তাব করা হয়েছে। যেখানে ৩০০ জন নির্বাচিত সংসদ সদস্যের পাশাপাশি ১০০ সদস্যের একটি উচ্চকক্ষ থাকবে। এই উচ্চকক্ষ আইন প্রণয়ন এবং গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
জেলা প্রশাসক আরো বলেন, জুলাই সনদ বাস্তবায়নে রাজনৈতিক দলগুলো অঙ্গীকারবদ্ধ থাকবে। আগামী নির্বাচনে যে দলই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তারা এই সনদ বাস্তবায়নে কাজ করবে। এই বার্তা তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে ‘ভোটের গাড়ি’ নামে একটি বিশেষ ক্যাম্পেইন শুরু করা হয়েছে, যা প্রতিটি উপজেলায় যাবে।
তিনি বলেন, ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে স্কুল-কলেজের নতুন ভোটারদের মাঝেও এই বার্তা পৌঁছে দিতে আমরা কাজ করছি। সাংবাদিক ভাইদের প্রতি অনুরোধ থাকবে, সরকারের এই মহতী উদ্যোগটি সবার কাছে তুলে ধরার জন্য।
শীতের সকাল উপেক্ষা করে শিল্পী-কুশলীদের পরিবেশনা উপভোগ করতে সাতক্ষীরা শহীদ আব্দুর রাজ্জাক পার্কে জনসাধারণের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা।