ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫ পৌষ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

‘চসিক এবং সেনাবাহিনী মিলে চট্টগ্রামে হাসপাতাল গড়বে’

‘চসিক এবং সেনাবাহিনী মিলে চট্টগ্রামে হাসপাতাল গড়বে’

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন এবং সেনাবাহিনী মিলে চট্টগ্রামে একটি আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল গড়তে যাচ্ছে। এছাড়া কাজীর দেউরী শিশু পার্কটিও উন্মুক্ত হবে।

মঙ্গলবার (৩০ ডিসেম্বর) টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে গঠিত কমিটির ৭ম সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ ঘোষণা দেন মেয়র।

সভায় বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) চেয়ারপারসন এবং দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া–এর রূহের মাগফিরাত কামনা করে মুনাজাত করা হয় এবং এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

সভায় চসিক মালিকানাধীন কালুরঘাট এফআইডিসি রোডস্থ ৮ একর জায়গা ৯৯ বছরের জন্য লীজ প্রদানের বিনিময়ে চসিক দখলীয় দামপাড়াস্থ আলমশাহ কাটগড় মৌজার ২.৮৬১২ একর জায়গা সেনাবাহিনী কর্তৃক চসিক বরাবর ৯৯ বছরের জন্য লীজ প্রদান করা এবং কাজীর দেউরী শিশু পার্কের ৩ একর জায়গা শুধুমাত্র পার্ক হিসেবে ব্যবহারের নিমিত্ত ৩০ বছরের জন্য চসিক বরাবরে বরাদ্দের বিষয়টি অনুমোদন হয়।

সভায় মেয়র বলেন, কাজীর দেউরী শিশু পার্ক উন্মুক্ত হবে, এটা দীর্ঘদিন ধরে নগরবাসীর একটি স্বপ্ন ছিল। পার্কটি কোনো স্থাপনা ছাড়া সম্পূর্ণ সবুজ পার্ক হিসেবেই গড়ে তোলা হবে, যেখানে মানুষ হাঁটতে পারবে, শিশুদের জন্য বিনোদনের সুযোগ থাকবে। পার্ক মানে পার্কই থাকবে—এখানে কোনো বাণিজ্যিক কাঠামো নির্মাণ করা হবে না।

আন্তর্জাতিক মানের হাসপাতাল প্রসঙ্গে মেয়র বলেন, সেনাবাহিনী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যে হাসপাতালগুলো নির্মাণ করেছে, সেগুলো মান ও ব্যবস্থাপনায় অত্যন্ত উন্নত। চট্টগ্রামে এমন একটি হাসপাতাল সময়ের দাবি। প্রস্তাবিত হাসপাতালে সাধারণ মানুষ স্বল্প ব্যয়ে আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা সেবা নিতে পারবে এমন শর্তে সমঝোতা হয়েছে।

সভায় কালুরঘাট এলাকার জমি ব্যবহার করে আইসিটি ভবন, বড় আকারের বাণিজ্যিক মার্কেট ও সম্ভাব্য ‘চায়না টাউন’-ধাঁচের প্রকল্প বাস্তবায়নের সম্ভাবনার কথাও তুলে ধরেন মেয়র। এসব প্রকল্প বাস্তবায়নের মাধ্যমে চসিকের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে, যা নগর উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

সভায় সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক ৩টি বিদ্যালয় অধিগ্রহণের সিদ্ধান্ত অনুমোদন হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো হল পাথরঘাটা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বাকলিয়া আর্দশ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং জানালখিল জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ উচ্চ বিদ্যালয়।

শিক্ষাখাতের বিষয়ে মেয়র বলেন, আগামী প্রজন্মকে দক্ষ মানবসম্পদে রূপান্তর করতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ভর্তুকি বৃদ্ধি করা হয়েছে। নগরবাসীর শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবার অধিকার নিশ্চিত করতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের যে আর্থিক সক্ষমতা প্রয়োজন, তা বর্তমানে পর্যাপ্ত নয়।

চট্টগ্রামে হাসপাতাল,চসিক এবং সেনাবাহিনী
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত