ঢাকা বুধবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬ পৌষ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

পর্যটক মুখর কক্সবাজার, থার্টি ফার্স্ট নাইট পালনে পুলিশের বিধিনিষেধ

পর্যটক মুখর কক্সবাজার, থার্টি ফার্স্ট নাইট পালনে পুলিশের বিধিনিষেধ

প্রতিবছর পুরোনো বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে লাখো পর্যটকের সমাগম ঘটে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। দেশের নানা প্রান্ত থেকে ভ্রমণপিপাসুরা অবকাশযাপনে কক্সবাজার ছুটে এসেছেন।

পর্যটনসংশ্লিষ্টরা বলছেন, মঙ্গলবার সকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সারাদেশের মানুষ শোকে স্তব্ধ। এর ফলে অনেকেই ভ্রমণ বাতিল করেছেন।

এদিকে থার্টি ফাস্ট নাইট উপলক্ষ্যে আজ বুধবার রাতে সমুদ্রসৈকতসহ উন্মুক্ত স্থানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ও জনসমাগম না করতে সাত ধরনের বিধিনিষেধ দিয়েছে জেলা পুলিশ। মঙ্গলবার রাতে জেলা পুলিশের এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব বিধিনিষেধ দেওয়া হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আজ বুধবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে আগামীকাল ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এ বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, থার্টি ফার্স্ট নাইটে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব, অপপ্রচার ও উসকানিমূলক বক্তব্য ছড়ানো, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট, নাশকতা বা সহিংস কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। এ ছাড়া উচ্চ শব্দে হর্ন বাজানো, বেপরোয়া গতিতে গাড়ি বা মোটরসাইকেল চালানো নিষিদ্ধ থাকবে।

জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) অলক বিশ্বাস বলেন, কক্সবাজার শহর ও সমুদ্রসৈকতে থার্টি ফার্স্ট নাইট উপলক্ষ্যে আতশবাজি ও পটকা বিক্রি ও ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে। একই সময়ে উন্মুক্ত স্থানে কিংবা রাস্তায় কোনো কনসার্ট, নাচ-গানের অনুষ্ঠান করা যাবে না। ৩১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বার ও মদের দোকানে বেচাকেনা বন্ধ থাকবে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অলক বিশ্বাস বলেন, বিধিনিষেধের পাশাপাশি পুলিশ শহরের প্রবেশমুখ ও গুরুত্বপূর্ণ ১০টি স্থানে তল্লাশিচৌকি বসিয়ে নজরদারি করবে।

সৈকতে লাখো পর্যটক

বছরের শেষ দিন ও নতুন বছরের প্রথম দিনে বরাবরই কক্সবাজারে পর্যটকের ঢল নামে। এ সময়ে স্থানীয়রাও সৈকতে ভিড় জমায়। কিন্তু ৮-৯ বছর ধরে নিরাপত্তার কারণে সৈকতের বর্ষবিদায় ও বরণে উন্মুক্ত অনুষ্ঠান হচ্ছেনা। অবশ্যই শহরের কয়েকটি তারকা মানের হোটেল ও রিসোর্টের অভ্যন্তরে নানা আয়োজন থাকে। তবে এবার বছরের শেষ দিনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সেসব অনুষ্ঠানও বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন হোটেল মালিকেরা।

হোটেল ও রিসোর্ট মালিকেরা বলছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে সারাদেশের মানুষ শোকাহত। এ কারণে অনেকেই আজ বুধবারের হোটেলের কক্ষ বুকিং বাতিল করেছে। আবার যারা গতকাল মঙ্গলবার বা বুধবার আসার অপেক্ষায় ছিলেন-তাদেরও বেশিরভাগ আসছেন না।

কক্সবাজার শহরের পাঁচ শতাধিক হোটেল, মোটেল, রিসোর্ট, গেস্টহাউজ ও কটেজে প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজারের মতো পর্যটকের রাতযাপনের ব্যবস্থা আছে। প্রতিবছর বর্ষবিদায় ও বরণে বিপুল পর্যটক ভ্রমণে আসেন জানিয়ে কক্সবাজার হোটেল-মোটেল, রিসোর্ট ও গেস্টহাউজ মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার বলেন, প্রায় ৯০ শতাংশ কক্ষ বুকিং রয়েছে।

ট্যুরিস্ট পুলিশ কক্সবাজার অঞ্চলের প্রধান ও অতিরিক্ত ডিআইজি আপেল মাহমুদ বলেন, বর্ষবিদায় ও বরণে কোনো ধরনের যেন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য সতর্ক রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পাশাপাশি পর্যটকদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ চার স্তরের নিরাপত্তা জোরদার করেছে।

পর্যটক,কক্সবাজার,থার্টি ফার্স্ট নাইট,বিধিনিষেধ,পুলিশ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত