অনলাইন সংস্করণ
১৮:৪৭, ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলায় জোরপূর্বক সাক্ষ্য নেয়া হয়েছে দাবি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ দাখিল করেছেন মামলার তিনজন সাক্ষী।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমকে এমন তথ্য জানিয়েছে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম।
২০১০ সালের ২৯ জুন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে তাকে মুক্তিযুদ্ধকালীন মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের মামলায় যুক্ত করা হয়।
সাঈদীর বিরুদ্ধে ১৯৭১ সালের সময়ে পিরোজপুরে সংঘটিত মোট ২০টি মানবতাবিরোধী অভিযোগ আনা হয়।
দীর্ঘ তদন্ত শেষে ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি ট্রাইব্যুনাল-১ মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন। পরে আইনজীবীদের আপিলের ভিত্তিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সর্বোচ্চ আপিল বিভাগ মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন। ২০২৩ সালের ১৫ আগস্ট চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসপাতালে মারা যান তিনি।
তবে সাঈদীর বিচারপ্রক্রিয়া নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্ক রয়েছে। মানবাধিকার সংস্থাগুলো ও বিশ্লেষকরা রায়ের স্বচ্ছতা ও প্রক্রিয়াগত নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।
সাঈদীর মামলার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিতর্ক ছিল তার পক্ষে সাক্ষ্য দিতে আসা সুখরঞ্জন বালির নিখোঁজ হওয়া। ২০১২ সালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দিতে এসে তিনি ট্রাইব্যুনাল চত্বর থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। পরবর্তীতে তাকে ভারতের একটি কারাগারে পাওয়া যায় বলে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ও সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। এই ঘটনা বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
এছাড়া মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সাঈদী জড়িত নন, এমন দাবি করে আসছে জামায়াতে ইসলামী ও তার পরিবারের সদস্যরা।