অনলাইন সংস্করণ
১২:৫৬, ১০ ডিসেম্বর, ২০২৫
বাগেরহাটে চারটি সংসদীয় আসন পুনর্বহাল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় বহাল রেখেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ পৃথক চারটি লিভ টু আপিল খারিজ করে এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন এবং অ্যাডভোকেট কামরুল হক সিদ্দিকী। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী কামাল হোসেন মিয়াজী।
এর আগে গত ৩০ জুলাই, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রাথমিকভাবে বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে তিনটি করার প্রস্তাব দেয় নির্বাচন কমিশন। তবে ওই প্রস্তাব বাতিলের দাবিতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল আন্দোলনে নামে।
আন্দোলনকারীরা সর্বদলীয় সম্মিলিত কমিটি গঠন করে হরতাল, অবরোধসহ নানা কর্মসূচি পালন করেন। পরে গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত গেজেটে দেখা যায়, বাগেরহাটের চারটি আসন থেকে একটি কমিয়ে গাজীপুরে একটি আসন বাড়ানো হয়েছে।
এই সিদ্ধান্তের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন বাগেরহাট প্রেসক্লাব, বাগেরহাট জেলা বিএনপি, জেলা জামায়াত, বাগেরহাট জেলা আইনজীবী সমিতি, সেভ দ্য সুন্দরবন ফাউন্ডেশন, বাগেরহাট জেলা ট্রাক, ট্যাংক, লরি ও কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতি এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনে বাগেরহাট-১ আসনে বিএনপির প্রার্থী মো. শেখ মাসুদ রানা।
রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনকে আগের মতো চারটি আসন পুনর্বহাল করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গেজেট প্রকাশ করতে নির্দেশ দেয়।
রায়ে বলা হয়, ২০২২ সালের সর্বশেষ আদমশুমারির ভিত্তিতে ২০২৩ সালের ১ জুলাইয়ের গেজেট অনুসারে সংসদীয় আসন নম্বর ৯৫ (বাগেরহাট-১), ৯৬ (বাগেরহাট-২), ৯৭ (বাগেরহাট-৩) এবং ৯৮ (বাগেরহাট-৪) পুনর্বহাল করতে হবে।
তবে হাইকোর্টের রায় স্থগিত চেয়ে নির্বাচন কমিশন, গাজীপুর-৬ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী মো. সালাহ উদ্দিন সরকার, টঙ্গী পূর্ব থানা বিএনপির সভাপতি ও মনোনয়নপ্রত্যাশী সরকার জাবেদ আহমেদ এবং একই আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী হাফিজুর রহমান আপিল বিভাগে পৃথক লিভ টু আপিল করেন