
রংপুর জেলা ও মহানগর এলাকায় ডেভিল হান্ট ফেজ টু অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের আরও ১০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পুলিশ সুপার।
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে মামলাসহ তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সংগঠিত করার পরিকল্পনার অভিযোগ রয়েছে।
গ্রেতাররা হলেন— গংগাচড়া উপজেলার কোলকোন্দ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক (৪১), তারাগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরিফুজ্জামান রাকিব (২৭), মিঠাপুকুর উপজেলার বালুয়া মাসিমপুর ইউনিয়ন যুবলীগ সভাপতি সোহাগ মিয়া (৪০), পীরগঞ্জ উপজেলার ১৫ নম্বর কাদিলপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহুবার রহমান মুকুল (৫০), পীরগাছা উপজেলার তাম্বুলপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি রাজু মিয়া (২৮), কাউনিয়া উপজেলা ৫ নম্বর বালাপাড়া ইউনিয়নের ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক নাজির হোসেন (২৮)।
রংপুর জেলা পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হুসাইন জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে মামলাসহ তাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র, নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড সংগঠিত করার পরিকল্পনার অভিযোগ রয়েছে। তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। ডেভিল হান্ট, ফেজ-টু এর অংশ হিসেবে রংপুর জেলা পুলিশের এ ধরনের বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার অভিযোগে মামলায় এজাহারভুক্ত চারজন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— রংপুর নগরীর হারাগাছ পৌর মৎস্যজীবী লীগের সভাপতি জাকিরুল হাসান সোহেল (৪১), ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অহেদুল ইসলাম (৪৫), ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য সেকেন্দার আলী খান সুবা মেম্বার ও রংপুর মডেল কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ইহসান কবির ইমন (২০)।
তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নাশকতা ও ভাঙচুরের অভিযোগে থানায় মামলা রয়েছে।
রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মজিদ আলী জানান, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট (ফেজ-টু)’ পরিচালনা করা হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলার মামলায় এজাহারভুক্ত কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের সক্রিয় সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ জনগণের জানমাল ও নিরাপত্তা রক্ষায় সর্বদা বদ্ধপরিকর।