
সিরাজগঞ্জ শহর এলাকায় চাঞ্চল্যকর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা কলেজছাত্র আব্দুর রহমানকে (১৯) প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় তিন যুবককে আটক করেছে পুলিশ।
তারা হলেন— পৌর এলাকার ধানবান্ধি মহল্লার আশিক (২১), সাগর (২৪), মেহেদী হাসান (১৭)। তাদেরকে পুলিশের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।
এ মামলার তদন্তকারী অফিসার ইন্সপেক্টর তাজমিলুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, রোববার বিকেল পৌনে ৫টার দিকে পৌর এলাকার সয়াধানগড়া খা পাড়া মহল্লার রেজাউল করিমের ছেলে ওই কলেজছাত্র শহরের চৌরাস্তার বাহিরগোলা সড়কে একটি সিএনজিতে বসেছিল। এ সময় একদল যুবক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ওই সিএনজি ঘিরে ফেলে এবং তাকে উপর্যুপরি কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে। তাকে উদ্ধার করে শহীদ এম মনসুর আলী মেডিক্যালে হাসপাতালে ভর্তি করে এবং কর্তব্যরত চিকিৎসক সন্ধ্যায় আব্দুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন। এ হত্যার সিসি ফুটেজ মুহূর্তেই মধ্যেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে তার লাশ উদ্ধার করে ওই হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে। এ হত্যাকাণ্ডে এলাকায় পুলিশের বিশেষ অভিযান শুরু করে এবং সোমবার ভোর রাতে ওই তিনজনকে আটক করা হয়। তাদেরকে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করছেন। এদের মধ্যে ১ জন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার স্বীকারোক্তি দিয়েছে।
ধারণা করা হচ্ছে, এলাকার আধিপত্য বিস্তার ও রোববার বিকেলে সবুজ কানন হাই স্কুল এ্যান্ড কলেজে একটি অনুষ্ঠানে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরেই এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। এ ব্যাপারে নিহত কলেজ ছাত্রের বাবা বাদী হয়ে ১১ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ২০/২৫ জনের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর (সার্কেল) নাজরান বলেন, এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ইতোমধ্যেই তিনজনকে আটক করা হয়েছে এবং অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের বিশেষ অভিযান অব্যাহত রয়েছে।