অনলাইন সংস্করণ
১২:৫২, ৩১ অক্টোবর, ২০২৫
বাজারে শীতের আগাম সবজির সরবরাহ বাড়তে শুরু করায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে সাধারণ ক্রেতার ঝুলিতে। কয়েক সপ্তাহ আগেও যেখানে বেশিরভাগ সবজির দাম কেজিপ্রতি ৬০ টাকার নিচে ছিল না, সেখানে বর্তমানে অনেক সবজির দামই কমে এসেছে কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা। এর প্রভাব পড়েছে ডিম ও মুরগির বাজারেও।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, আগাম শীতের শিম ৬০ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, যা দুই সপ্তাহ আগে ছিল প্রায় দ্বিগুণ। প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৩০ থেকে ৫০ টাকা দরে পাওয়া যাচ্ছে।
এছাড়া, মুলা ৪০ থেকে ৬০ টাকা কেজি। আলু ২০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ও কচুর মুখি ৩০ থেকে ৪০ টাকা, পটল, ঢ্যাঁড়স, চিচিঙ্গা ৫০ থেকে ৬০ টাকা, লম্বা বেগুন, করলা, বরবটি ও কচুর লতি ৬০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা মরিচের দামও কমে ১০০ টাকার মধ্যে নেমেছে, যদিও পাড়া-মহল্লার দোকানে দাম কিছুটা বেশি।
রামপুরা কাঁচাবাজারের এক বিক্রেতা বলেন, ক্রেতাদের এখন আর সবজি নিয়ে তেমন চিন্তা নেই। আগাম শীতের সবজি উঠায় প্রায় সব ধরনের সবজির দামই কমেছে প্রতি কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা।
ইলিশ আহরণে ২২ দিনের নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ায় গত পাঁচ দিন ধরে বাজারে ইলিশের সরবরাহ শুরু হয়েছে। তবে দাম এখনো আগের মতোই বেশি। রামপুরায় ৩০০–৪০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ কেজিপ্রতি ৮০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। আর ৮০০ গ্রাম পর্যন্ত ওজনের ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ থেকে ২০০০ টাকায়। অন্যান্য মাছের দামও আগের সপ্তাহের তুলনায় বেশি।
সবজির দামে স্বস্তি এলেও অন্যান্য পণ্যের বাজারে পুরোপুরি সুবিধা মিলছে না। গত সপ্তাহে ফার্মের ডিমের ডজন ছিল ১৪০ টাকা, এখন বড় বাজারে বিক্রি হচ্ছে ১৩০ টাকায়। তবে মহল্লার দোকানগুলোতে এখনো ডিমের দাম ১৪০ টাকা।
ব্রয়লার মুরগির কেজি কমে ১৭০ থেকে ১৮০ টাকায় এসেছে। তবে সোনালি মুরগি আগের মতোই প্রতি কেজি ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
দেশি পেঁয়াজ ৭৫ থেকে ৮০ টাকা, দেশি রসুন ১০০ থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। দেশি মসুর ডালের দাম ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা থাকলেও আমদানি করা মসুর ডাল ৯৫ থেকে ১০৫ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে। চিনির দামও কিছুটা কমে কেজিপ্রতি ১০৫ থেকে ১১৫ টাকায় এসেছে। তবে ভোজ্যতেলের দাম অপরিবর্তিত।
এদিকে মুরগির দাম কমলেও গরু ও খাসির মাংসের বাজারে কোনো পরিবর্তন নেই। প্রতি কেজি গরু বিক্রি হচ্ছে ৭৫০ টাকায় এবং খাসির মাংস ১০০০ টাকায়, যা আগের সপ্তাহের সমান।