অনলাইন সংস্করণ
১১:৫৯, ০৬ মে, ২০২৫
বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণ, মারধর ও গর্ভপাত ঘটানোর অভিযোগে আশরাফুল হোসেন আলম ওরফে হিরো আলমের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
রোববার (৪ মে) বগুড়ার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ এর আদালতে এক নারী এ মামলা করেন।
মামলায় হিরো আলমসহ ছয়জনকে আসামি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বগুড়ার পিবিআই পুলিশ সুপারের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ট্রাইব্যুনালের বিচারক আনোয়ারুল হক বাদীর জবানবন্দী গ্রহণ করে তদন্তের জন্য আদেশ দেন।
বাদীর অভিযোগ, তাকে অভিনয়ের সুযোগ দেওয়ার আশ্বাস দেন হিরো আলম। এরপর তিনি বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন। মৌলভী ডেকে তাকে ‘বিয়ে’ করে হিরো আলম বিভিন্ন জায়গায় বাসা ভাড়া নিয়ে সংসার করতে থাকেন। এরই মধ্যে হিরো আলম ১৫ লাখ টাকা ধার নেন। পরে হিরো আলমকে বিয়ের কাবিনের জন্য চাপ দিলে গত ১৮ এপ্রিল তাকে বগুড়ার বাড়িতে নিয়ে আসেন ও গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ দেন। কিন্তু তিনি সন্তান নষ্ট করতে রাজি না হলে অন্য আসামিরা গত ২১ এপ্রিল তাকে মারধর করে রক্তাক্ত করেন। ওই দিন তাকে বগুড়া শহরে একটি ক্লিনিকে ভর্তি করা হলে গর্ভের সন্তান নষ্ট হয়। পরে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি চিকিৎসা নেন মর্মে অভিযোগে বলা হয়।
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন হিরো আলম। তিনি বলেন, ‘আমি ওই নারীকে চিনি না। আমাকে ফাঁসাতে মিথ্যা মামলা করা হচ্ছে।’
হিরো আলম বগুড়ার এরুলিয়া পশ্চিমপাড়ার মৃত আহম্মদ আলীর ছেলে। তিনি ছাড়া মামলার অন্য আসামিরা হলেন- তার মেয়ে আলো বেগম, ব্যক্তিগত সহকারী আল আমিন, মালেক ও তার স্ত্রী জেরিন এবং আহসান হাবীব সেলিম।
