
দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ ভয়াবহ আকার নিচ্ছে। জুলাই মাসেই এই রোগে মৃত্যু হয়েছে ৪১ জনের, যা চলতি বছরে এক মাসে সর্বোচ্চ। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ১০ হাজার ৬৮৪ জন রোগী। মৃত্যুর পাশাপাশি আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপও বেড়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ২০ হাজার ৯৮০ জন। এর মধ্যে ৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১৯ হাজার ৬৩৫ জন চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডেঙ্গু এখন আর মৌসুমি রোগ নয়, সারা বছর ধরেই সংক্রমণ দেখা যাচ্ছে। বৃষ্টির মৌসুমে এর প্রকোপ আরও বাড়ছে। অধ্যাপক ডা. আতিকুর রহমান বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে কেবল ওষুধ ছিটানো যথেষ্ট নয়, সিটি করপোরেশন এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্মিলিত উদ্যোগ দরকার। একই সঙ্গে জনগণকেও সচেতন হতে হবে।
এদিকে কীটতত্ত্ববিদ ডা. মনজুর চৌধুরী মনে করছেন, মশা নিয়ন্ত্রণে শুধু জরিমানা বা প্রচারণা কার্যকর হবে না। প্রয়োজন সঠিক জরিপ, দক্ষ জনবল এবং যথাযথ কৌশল।
২০২৩ সালে দেশে ডেঙ্গুর ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ সময় পার করে। ওই বছর আক্রান্ত হয়েছিলেন ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন এবং মৃত্যু হয়েছিল ১ হাজার ৭০৫ জনের।