ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২২ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

ভারতের হামলায় ধ্বংস হওয়া মসজিদেই নামাজ আদায়

ভারতের হামলায় ধ্বংস হওয়া মসজিদেই নামাজ আদায়

পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মীর ও পাঞ্জাবে গত মঙ্গলবার হামলা চালায় ভারত। এ হামলায় বেশ কয়েকটি মসজিদও ধ্বংস হয়। এসময় হতাহতের ঘটনাও ঘটেছে। তবে তাতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মনোবলে এতোটুকুও ফাটল ধরেনি। বরং ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদেই ফজরের নামাজ আদায় করেছেন শতশত মুসল্লি। এমনই ঘটনা ঘটেছে আজাদ কাশ্মীরের মুরিদকে ও মারকাজে।

বৃহস্পতিবার (৮ মে) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এদিন পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে হামলা আতঙ্কের মধ্যেই ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদে ফজরের নামাজ আদায় করেছেন স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা।

যুদ্ধ পরিস্থিতি বিবেচনায় ভারতীয় সীমান্তের কাছের এলাকাগুলো সম্পূর্ণ ব্ল্যাকআউটের আওতায় থাকা সত্ত্বেও তারা দমে যাননি। পালিয়ে যাওয়ার পরিবর্তে সংহতি প্রকাশের জন্য ফজরের ওয়াক্তে মারকাজে একত্রিত হয়েছিলেন পুরো এলাকার বাসিন্দারা। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত ছিল যে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলি মসজিদটি ঘিরে ফেললে প্রায় দাঙ্গা শুরু হয়ে যায়, বাসিন্দাদের সকালের নামাজ পড়তে বাধা দেওয়া হয়।

তবে, স্থানীয়দের চাপের মুখে পুলিশ অবশেষে নতি স্বীকার করে এবং বাসিন্দারা ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদে নামাজ আদায় করেন।

স্থানীয় নেতা শেখ তামোইর বলেন, ভারত থেকে আসা চারটি ক্ষেপণাস্ত্র আট মিনিটের মধ্যে আমার মাঠের কয়েকশ ফুট দূরে মারকাজ তাইবা, মুরিদকেতে আঘাত করে। প্রথম ক্ষেপণাস্ত্রটি ভূমিকম্পের মতো মাটি কাঁপিয়ে দিয়েছিল এবং নাঙ্গার সাদাইনের গ্রামবাসীদের তাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে বাধ্য করেছিল। পরে আরও তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানে, যার একটির আঘাতে প্রাসাদীয় একটি মসজিদ ভেঙে যায়। এরপরও ঝুঁকি উপেক্ষা করে স্থানীয় বাসিন্দাদের ধ্বংসপ্রাপ্ত মসজিদে নামাজ আদায়ের ঘটনা, তাদের দৃঢ় মনোবলেরই প্রমাণ।

উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার (৬ মে) মধ্যরাতে পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মিরের অন্তত ৯টি স্থানে একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এতে অন্তত ৩১ জনের প্রাণহানি ঘটেছে বলে দাবি করছে পাকিস্তান। এসময় বেশ কিছু মসজিদেও হামলা চালানো হয়।

সবচেয়ে বড় হামলাটি হয়েছে পাঞ্জাব প্রদেশের বাহাওয়ালপুরের আহমেদপুর শারকিয়ায়। সেখানে একটি মসজিদের আঙিনায় ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হানলে পাঁচজন নিহত হন, যাদের মধ্যে একটি তিন বছরের শিশুও রয়েছে। এছাড়া মুজাফফরাবাদ, কোটলি, মুরিদকে ও বাঘ এলাকায় হামলায় হতাহতদের খবর পাওয়া গেছে। মুজাফফরাবাদের বিলাল মসজিদেও হামলা চালানো হয়, যেখানে এক শিশু আহত হয়।

ভারতের হামলার পরপরই দেশটির ৫টি অত্যাধুনিক বিমানসহ একটি সেনা সদরদপ্তর গুঁড়িয়ে দিয়েছে তাদের সেনারা। এমনকি ভারতকে কঠিন জবাব দিতে প্রয়োজনীয় যে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণের অনুমতিও পেয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী। এছাড়া ভারতের হামলায় ঝরা প্রতি ফোঁটা রক্তের চরম বদলা নেওয়া হবে বলে ঘোষণা করেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ।

ভারত,হামলা,মসজিদ,নামাজ আদায়
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত