ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় একটি স্কুলে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি সেনারা। এই হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত ও বহু আহত হয়েছেন। স্কুলটি বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল।
সোমবার (২৬ মে) ভোরে গাজা শহরের ফাহমি আল-জারজাউই স্কুলে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনী ফাহমি আল-জারজাউই স্কুলে বোমাবর্ষণ করে। হামলার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া কিছু ছবিতে পুড়ে যাওয়া মৃতদেহ দেখা গেছে, যদিও রয়টার্স তাৎক্ষণিকভাবে এর সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
গাজার সিভিল ডিফেন্স জানিয়েছে, উদ্ধারকারীরা স্কুলের আগুন নেভাতে সক্ষম হলেও হামলায় স্কুলটি প্রায় ধ্বংস হয়ে গেছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে এখনও অনেক মানুষ আটকা পড়ে আছেন। ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে এই হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
এদিকে স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে ইউরোপ ও আরব বিশ্বের ২০টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি সম্মেলন বসেছে। সেখানে স্পেন আহ্বান জানিয়েছে, ইসরায়েলের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপের বিষয়টি বিবেচনায় নিতে হবে। সম্মেলনের মূল লক্ষ্য ছিল ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের মধ্যে দুই-রাষ্ট্রভিত্তিক সমাধানের জন্য আন্তর্জাতিক সমর্থন জোগাড় করা।
পৃথক প্রতিবেদনে আল জাজিরা বলছে, গত ৪৮ ঘণ্টায় গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ১২ জনের বেশি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর পাশাপাশি হাজার হাজার শিশু চরম অপুষ্টির শিকার হয়ে মৃত্যু ঝুঁকিতে আছে বলে সতর্ক করেছে জাতিসংঘের ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি)। সংস্থাটি জানিয়েছে, বর্তমানে গাজায় ৭০ হাজারেরও বেশি শিশু মারাত্মক অপুষ্টিতে ভুগছে।
এর আগে রোববার গাজায় মোহাম্মদ ইয়াসিন নামে চার বছর বয়সী এক শিশু না খেতে পেয়ে মারা যায়। গাজায় সম্প্রতি অনাহারে মারা যাওয়া অসংখ্য শিশুর মধ্যে সর্বশেষ মৃত্যুবরণ করল এই শিশুটি।
আবা/এসআর/২৫