জি-৭ সম্মেলনের একদম মাঝপথে হঠাৎ করেই সম্মেলন ত্যাগ করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। জানিয়েছেন, 'কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে'—এই ইঙ্গিত দিয়েই তিনি দ্রুত কানাডা ছাড়ার ঘোষণা দেন। ইসরায়েল-ইরান চলমান সংঘাতের পটভূমিতে ট্রাম্পের এই তড়িঘড়ি সিদ্ধান্তকে নতুন হস্তক্ষেপের সম্ভাবনা হিসেবেই দেখছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।
সোমবার রাতে নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ‘ট্রুথ সোশ্যাল’-এ একটি পোস্টে ট্রাম্প ইসরায়েলের প্রতি দৃঢ় সমর্থন জানিয়ে ইরানের জনগণকে সতর্ক করে দেন। তিনি লেখেন, 'সবাই যেন তৎক্ষণাৎ তেহরান ছেড়ে সরে যায়!' একই সময় কানাডার কানানাস্কিস রিসোর্টে জি-৭ নেতাদের সঙ্গে তোলা এক ছবিতে ট্রাম্প বলেন, 'আমি চাইছিলাম আগামীকাল পর্যন্ত থাকতে, কিন্তু আমাকে এখনই ফিরতে হবে। তারা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছে—এটা খুব বড় ব্যাপার।'
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট পরে নিশ্চিত করেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প সম্মেলনের রাতের নৈশভোজে অংশ নিয়ে ওয়াশিংটনে ফিরবেন। এর ফলে তিনি সম্মেলনের পরদিনের বৈঠকে অংশ নিতে পারবেন না, যেখানে ইউক্রেন ও মেক্সিকোর নেতাদের সঙ্গে আলোচনা নির্ধারিত ছিল।
যদিও ট্রাম্প ইসরায়েলি হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করেন, তবুও তিনি ইসরায়েলের পদক্ষেপকে 'প্রতিরক্ষামূলক ও যুক্তিযুক্ত' বলে মন্তব্য করেন। তার ভাষায়, 'আমি এখান থেকে যেই রওনা হবো, কিছু একটা ঘটতে যাচ্ছে।' ট্রাম্প আরও বলেন, 'ইরান যদি আলোচনায় না বসে, তবে সেটি হবে মারাত্মক ভুল। তারা এই যুদ্ধে জিততে পারবে না।'
এছাড়া কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনির সঙ্গে বৈঠকে ট্রাম্প জানান, 'এই যুদ্ধ দুই পক্ষের জন্যই কষ্টকর, কিন্তু আলোচনায় না বসলে ক্ষতি শুধু ইরানেরই।' ট্রাম্প কূটনৈতিক সমাধানকে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বললেও তার আচরণ এবং বক্তব্য যুদ্ধ পরিস্থিতি ঘনীভূত হওয়ারই ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকরা।