ইয়েমেনের হুথি আনসার-আল্লাহর নেতৃত্বাধীন সশস্ত্র বাহিনী সোমবার জানিয়েছে, লোহিত সাগরে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট ‘ম্যাজিক সিস’ জাহাজকে লক্ষ্য করে সামরিক অভিযান পরিচালনা করেছেন তারা।
বাহিনীর মুখপাত্র ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইয়াহিয়া সারি জানান, দুটি মানববিহীন নৌকা, পাঁচটি ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ মিসাইল এবং তিনটি ড্রোন ব্যবহার করে অভিযানটি পরিচালিত হয়।
সারির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, অভিযানে জাহাজটিকে সরাসরি আঘাত করা হয় এবং এটি ডুবে যাওয়ার ঝুঁকিতে আছে। পরে তিনি জানান, ‘ম্যাজিক সিস’ সাগরের গভীরে পুরোপুরি ডুবে গেছে।
জাহাজের ক্রুদের নিরাপদে জাহাজ ত্যাগের অনুমতি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে ইয়েমেনি মুখপাত্র বলেন, বারবার সতর্ক করার পরও জাহাজটি সতর্কবার্তা উপেক্ষা করেছিল।
সারি জোর দিয়ে বলেন, ইহুদিবাদীদের সহযোগী যে কোনো জাহাজকে ইসরায়েলি বন্দরে প্রবেশে বাধা দিতে ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী যথাযথ বলপ্রয়োগ করতে দ্বিধাবোধ করবে না। এসব জাহাজকে নাগালের মধ্যে পাওয়া গেলেই হামলার লক্ষ্যবস্তু করা হবে।
এর আগে ব্রিটেনের রয়্যাল নেভি পরিচালিত ইউকে মেরিটাইম ট্রেড অপারেশনস বা ইউকেএমটিও জানায়, ইয়েমেনের উপকূলে লোহিত সাগরে রকেটচালিত গ্রেনেড ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে একটি বাণিজ্যিক জাহাজে হামলা চালিয়েছেন বন্দুকধারীরা। সংস্থাটি বলেছে, হুথি-নিয়ন্ত্রিত ইয়েমেনের হোদেইদা বন্দরের ৫১ নটিক্যাল মাইল দক্ষিণ-পশ্চিমে এ ঘটনা ঘটে।
পর্যবেক্ষক সংস্থাটির বিবৃতিতে বলা হয়, ‘জাহাজটিকে একাধিক ছোট নৌযান ঘিরে রেখে গুলিবর্ষণ ও রকেটচালিত গ্রেনেড ছোড়ে। ব্রিটেনভিত্তিক নিরাপত্তা সংস্থা অ্যামবে জানায়, আটটি ছোট নৌকা একসঙ্গে জাহাজটির দিকে এগিয়ে এসে প্রথমে ছোট অস্ত্র এবং পরে রকেটচালিত গ্রেনেড দিয়ে হামলা চালায়। জাহাজটি লোহিত সাগরের উত্তর দিকে যাচ্ছিল।
হুথিরা জানিয়েছেন, সাহসী ফিলিস্তিনি জনগণ এবং তাদের প্রতিরোধ সংগ্রামকে সংহতি জানিয়ে এই হামলা পরিচালিত হয়। যতদিন গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলা চলবে, ততদিন তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়ে যাবেন।