ফিলিস্তিনিদের গাজা উপত্যকায় চলমান গণহত্যার জবাবে ইসরায়েলগামী আরেকটি জাহাজে হামলা চালিয়েছে ইয়েমেনের হুথি আনসার-আল্লাহ সমর্থিত সশস্ত্র বাহিনী।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন নেভাল ফোর্সের বরাতে আলজাজিরা জানিয়েছে, লোহিত সাগরে একটি লাইবেরিয়ান পতাকাবাহী কার্গো জাহাজে হুথিদের হামলার পর ছয়জন নাবিককে উদ্ধার করা হয়েছে। বুধবারের এই হামলায় গ্রিসের মালিকানাধীন জাহাজটি ডুবে গেছে এবং অন্তত চারজন নাবিক নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১৫ জন। এক দিন আগে লোহিত সাগরে ‘ম্যাজিক সীস’ নামে ইসরায়েল সংশ্লিষ্ট আরেকটি জাহাজ ডুবিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন হুথিরা।
বুধবার এক বিবৃতিতে ইয়েমেনের বাহিনী জানিয়েছে, ইসরায়েলের এইলাত বন্দরের দিকে যাওয়া একটি জাহাজে আঘাত হেনেছে তাদের নৌবাহিনী। ‘ইটারনিটি সি’ নামের জাহাজটি তাদের পক্ষ থেকে দেওয়া সতর্কতা ও আহ্বান উপেক্ষা করে সামনে এগোচ্ছিল।
বিবৃতিতে বলা হয়, সামরিক অভিযানটি একটি মানববিহীন সারফেস ভেহিকল এবং ছয়টি ক্রুজ ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে পরিচালিত হয়। জাহাজটি ‘সম্পূর্ণরূপে ডুবে গেছে’ উল্লেখ করে বিবৃতিতে বলা হয়, অভিযানের অডিও এবং ভিডিও করেছেন তারা। তবে জাহাজের ক্রুদের উদ্ধার করে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে বলে বিবৃতিতে জানানো হয়।
ইয়েমেনের সশস্ত্র বাহিনী জানায়, ইসরায়েল-অভিমুখী জাহাজের ওপর সানার আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করেছে জাহাজের মালিক প্রতিষ্ঠান। এ কারণে এতে হামলা করতে বাধ্য হন তারা।
বিবৃতিতে বলা হয়, লোহিত সাগর এবং আরব সাগরে ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট জাহাজের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে এবং ইসরায়েলি বন্দরগুলোর দিকে না যাওয়ার জন্য কোম্পানি ও দেশগুলোকে সতর্ক করা হচ্ছে।
এতে আরও বলা হয়, ‘জাহাজ এবং তাদের ক্রুদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আমরা জাহাজ কোম্পানি ও দেশগুলোকে আবারও সতর্ক করছি, যদি তারা জায়নবাদী সত্তার সঙ্গে লেনদেন চালিয়ে যান ও ইসরায়েলি বন্দরে জাহাজ পাঠান, তাহলে তার পরিণতি ভোগ করতেই হবে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গাজায় আগ্রাসন বন্ধ এবং সেখানে আরোপিত অবরোধ তুলে না নেওয়া পর্যন্ত ইয়েমেনের প্রতিশোধমূলক অভিযান চলবে।