ইউক্রেনে নতুন করে মার্কিন অস্ত্র সরবরাহ শুরুর ঘোষণার পর, রাশিয়া জানিয়েছে তারা পশ্চিমা দেশগুলোর এই কার্যক্রম ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছে।
বুধবার (১৬ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।
পেসকভ বলেন, ‘আমরা ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহের বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত আছি এবং প্রয়োজন হলে প্রতিক্রিয়া জানাব।’
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি প্রকাশ্যে রাশিয়ার প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পুতিনকে ৫০ দিনের মধ্যে শান্তিচুক্তিতে সম্মত হতে হবে, না হলে কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে।
ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমরা সেকেন্ডারি ট্যারিফ আরোপ করবো। যারা রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য করবে, তাদের ওপরও প্রভাব পড়বে।’
তবে এ নিয়ে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও ট্রাম্পের মধ্যে নতুন কোনো ফোনালাপ নির্ধারিত নেই বলে জানিয়েছেন পেসকভ। তবে প্রয়োজন হলে দ্রুত সেটি আয়োজন সম্ভব বলে জানান তিনি।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, রাশিয়া এখন ‘শান্ত থাকো এবং কাজ চালিয়ে যাও’ নীতিতে রয়েছে। যদিও ট্রাম্পের চাপ আসলেই পুতিনকে যুদ্ধ বন্ধে প্ররোচিত করবে কিনা, তা এখনও অনিশ্চিত।
উল্লেখ্য, নভেম্বরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনি প্রেসিডেন্ট হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করে দিতেন।
তবে ছয়বারের ফোনালাপ এবং রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র-ইউক্রেনের প্রতিনিধিদের কয়েকটি বৈঠক হলেও এখন পর্যন্ত কোনো যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়নি।