ঢাকা মঙ্গলবার, ২৯ জুলাই ২০২৫, ১৪ শ্রাবণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

গাজায় ত্রাণপ্রার্থীসহ নিহত অন্তত ১১৫

গাজায় ত্রাণপ্রার্থীসহ নিহত অন্তত ১১৫

গাজা উপত্যকায় জাতিসংঘের ত্রাণবাহী লরির জন্য অপেক্ষারত অবস্থায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ৬৭ ফিলিস্তিনিসহ একদিনে আরও অন্তত ১১৫ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

সোমবার (২১ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, উত্তর গাজার জিকিম ক্রসিং এলাকায় অন্তত ৬৭ জন নিহত হয়েছেন। ইসরায়েলি বাহিনী সেখানে ত্রাণের জন্য অপেক্ষারত জনতার ওপর হামলা চালালে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে। দক্ষিণে আরেকটি বিতরণ কেন্দ্রের কাছে আরও ৬ জন নিহত হন। এর আগের দিন একইভাবে মারা গিয়েছিলেন ৩৬ জন।

গত মে মাস থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৯০০ জনের বেশি মানুষ।

আল জাজিরা বলছে, ত্রাণ সংগ্রহ করতে গিয়ে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান আহমেদ হাসুনা। তিনি বলেন, “আমার সঙ্গে একজন যুবক ছিল। হঠাৎ গ্যাস নিক্ষেপ শুরু হলো। গ্যাসেই আমাদের শেষ করে ফেলছিল। আমরা কোনওমতে পালিয়ে এসে একটু নিশ্বাস নিতে পারলাম।”

আরেক বাসিন্দা রিজেক বেতার জানান, আহত এক বৃদ্ধকে তিনি সাইকেলে করে সরিয়ে নিয়েছেন। তিনি বলেন, “আমরাই তাকে নিয়ে এসেছি। এখানে অ্যাম্বুলেন্স নেই, খাবার নেই, জীবন নেই, বেঁচে থাকার পথ নেই। আমরা কোনোমতে টিকে আছি। আল্লাহই আমাদের সহায় হোন।”

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) জানিয়েছে, গাজায় প্রবেশ করার কিছুক্ষণের মধ্যেই তাদের ২৫ ট্রাকের একটি ত্রাণবহরে গুলি চালানো হয়। এক বিবৃতিতে সংস্থাটি জানায়, “ত্রাণের জন্য অপেক্ষারত বেসামরিক মানুষের ওপর কোনো ধরনের সহিংসতা একেবারেই অগ্রহণযোগ্য।”

জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) দাবি, ইসরায়েলি সীমান্ত অতিক্রম করে গাজায় প্রবেশ করা তাদের ২৫টি ট্রাকের বহর ক্ষুধার্ত মানুষের ভিড়ের মধ্যে পড়ে। এ সময় বেসামরিক জনগণকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করা হয়।

অন্যদিকে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, তারা 'তাৎক্ষণিক হুমকি' মোকাবেলায় 'সতর্কতামূলক গুলি' ছুড়েছিল। নিহতের সংখ্যা নিয়ে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যের প্রতি আপত্তি জানিয়েছে আইডিএফ।

আবা/এসআর/২৫

গাজা,ত্রাণপ্রার্থী,নিহত
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত