ঢাকা সোমবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

গাজায় একদিনে প্রাণ গেলো আরও ৮০ ফিলিস্তিনির

গাজায় একদিনে প্রাণ গেলো আরও ৮০ ফিলিস্তিনির

গাজায় ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলায় অন্তত ৮০ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া ইসরায়েলের অবরোধের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে অনাহারে নতুন করে আরও ১৪ ফিলিস্তিনি মারা গেছেন বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় অপুষ্টিতে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৪৭ জনে, যার মধ্যে ৮৮ জন শিশু।

মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

সংবাদমাধ্যমটি বলছে, গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি হামলায় আরও অন্তত ৮০ জন নিহত হয়েছেন। একইসঙ্গে ক্রমবর্ধমান দুর্ভিক্ষে আরও ১৪ ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে, যাদের মধ্যে দুটি শিশুও রয়েছে বলে সোমবার জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

ইসরায়েলের কঠোর অবরোধের কারণে গাজার ২ দশমিক ৩ মিলিয়ন বাসিন্দারা ভয়াবহ খাদ্য সংকটে রয়েছে। মার্চে গাজার উপর ইসরায়েল পূর্ণ অবরোধ আরোপ করে, যা মে মাসে আংশিক শিথিল হয়। তবে এরপর থেকে মানবিক সহায়তা প্রবেশের মাত্রা এতই কম যে, জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো গণ-অনাহারের ঝুঁকির কথা বারবার সতর্ক করেছে।

জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী সংস্থা (ইউএনআরডব্লিউএ) প্রধান ফিলিপ লাজারিনি বলেন, গাজায় মানুষ এখন ‘মৃতও নয়, জীবিতও নয় – চলন্ত লাশ’ অবস্থায় আছে। তিনি জাতিসংঘের এক সম্মেলনে বলেন, ‘এখন আর শুধু নিন্দা বা ক্ষোভ যথেষ্ট নয়, অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি দরকার। তারপরই মানবিক সহায়তা ব্যাপকভাবে পৌঁছানো সম্ভব হবে।’

গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গাজার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, ‘অনেক মানুষ অনাহারে ভুগছে এবং ইসরায়েলের এই পরিস্থিতির জন্য অনেক দায়িত্ব রয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমরা খাদ্য কেন্দ্র স্থাপন করব যেখানে কেউ বাধাগ্রস্ত হবে না এবং যুক্তরাষ্ট্র অন্যান্য দেশের সঙ্গে মিলিত হয়ে গাজায় খাদ্য ও স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছাবে।’

তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বুধবার বলেছিলেন, ‘গাজায় কোনো অনাহার নেই’ এবং হামাসের বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত থাকবে। একই সঙ্গে তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছিলেন, ‘গাজার পরিস্থিতি কঠিন হলেও আমরা আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে কাজ করে মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেব।’

তবে সম্প্রতি গাজায় খাদ্য সংকট আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। চলতি বছরের মার্চ মাসে ইসরায়েল পুরোপুরি অবরোধ আরোপ করে, যা মে মাসে আংশিক তুলে নেওয়া হলেও এখনও সীমিত পরিমাণে ত্রাণ ঢুকছে। জাতিসংঘ ও ত্রাণ সংস্থাগুলোর সতর্কতা সত্ত্বেও প্রয়োজনীয় সাহায্য ঢুকতে পারছে না।

আবা/এসআর/২৫

গাজা,নিহত
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত