ঢাকা মঙ্গলবার, ০৯ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

রিজিক বৃদ্ধির আমল

রিজিক বৃদ্ধির আমল

রিজিক আল্লাহর বিশেষ দান। এর জন্য শুধু দোয়া করাই যথেষ্ট নয়, আমাদের সৎভাবে কাজ করতে হবে, আল্লাহর নির্দেশ অনুসরণ করতে হবে এবং আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে অপেক্ষা করতে হবে। ইস্তিগফার, হালাল উপার্জন, জাকাত প্রদান এবং আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য সৎপথে চলা রিজিকের দ্বার খুলে দেয়। রিজিক একজন মানুষের জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ রিজিক প্রদানকারী। তিনি যেভাবে চান, সেভাবেই রিজিক দেন। উত্তম রিজিকের জন্য কিছু দোয়া ও করণীয় হলো-

দোয়া করা : রিজিকের জন্য আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আল্লাহ তার বান্দাদের কাছে সৎভাবে চাওয়া এবং প্রার্থনা করার জন্য উৎসাহিত করেছেন। কিছু দোয়া উত্তম রিজিক লাভে সাহায্য করে। যেমন- আল্লাহুম্মাগফিরলি জাম্বি, ওয়াওয়াসসি লি ফি রিজকি, ওয়া বারিক লি ফিমা রাজাকতানি। অর্থ : হে আল্লাহ, আমার গোনাহ ক্ষমা করে দিন, আমার ঘর প্রশস্ত করে দিন এবং আপনি আমাকে যে জীবিকা দান করেছেন, তাতে বরকত দান করুন। আরেকটি দোয়া হলো- আল্লাহুম্মাক ফিনি বিহালালিকা আন হারামিকা ওয়া আগনিনি বিফাদলিকা আম্মান সিওয়াক। অর্থ : হে আল্লাহ! আমাকে তোমার হালাল দ্বারা হারাম থেকে বিরত রেখ এবং তোমার অনুগ্রহ দ্বারা অন্যদের থেকে আমাকে পরিতৃপ্ত কর। এ দোয়া মোমিনদের জন্য বিশেষভাবে রিজিকের সংস্থান এবং হারাম থেকে মুক্তির জন্য অত্যন্ত কার্যকর।

হালাল উপার্জন : আমরা যে উপার্জন করি, তা যেন হালাল হয়, সেদিকে নজর রাখতে হবে। আল্লাহ বলেন, ‘হে ঈমানদাররা! তোমরা যা উপার্জন কর, তা থেকে ভালো এবং পবিত্র রিজিক খাও।’ (সুরা মায়িদা : ৮৮)।

তওবা-ইস্তিগফার : রিজিকের সমস্যা বা সংকটের সময় ইস্তিগফার করা (অভিশাপ থেকে মুক্তি চাওয়া) রিজিকের দ্বার খুলে দেয়। কোরআনে এসেছে, ‘আমি যদি তাদের (অথবা তোমাদের) ইস্তিগফার করি, তবে আমি আকাশ ও পৃথিবী থেকে তাদের জন্য রিজিক দেব।’ (সুরা নুহ : ১০-১২)।

ধৈর্য ধারণ করা : কখনও কখনও রিজিক দেরিতে আসে। এ সময় ধৈর্য ধারণ করা এবং আল্লাহর ওপর ভরসা রাখা দরকার। আল্লাহ বলেন, ‘যারা ধৈর্য ধারণ করে, তাদেরকে তাদের পুরস্কার দ্বিগুণ দেওয়া হবে।’ (সুরা আহজাব : ১১)।

রিজিক,বৃদ্ধি,আমল
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত