অনলাইন সংস্করণ
০৭:৪০, ০৮ অক্টোবর, ২০২৫
মানবসভ্যতার ইতিহাসে রাসুলুল্লাহ (সা.) এমন এক আলোকবর্তিকা, যিনি অন্ধকার ভেদ করে মানবজাতির জন্য পথপ্রদর্শক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। তার জীবনই সিরাত সাহিত্যকে করেছে চির সবুজ। সেই ধারার নতুন সংযোজন ‘সিরাত বোঝার পূর্বপাঠ’। আরবি ভাষায় বইটি লিখেছেন মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সহকারী অধ্যাপক ড. ইয়াহইয়া বিন ইবরাহীম ইয়াহইয়া। বাংলায় অনুবাদ করেছেন মুহাদ্দিস ও লেখক আব্দুল্লাহ আলমামুন আশরাফী। ১০ অধ্যায়ের এ বইয়ে সিরাতের পরিচয়, সিরাতপাঠের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য, অপরিহার্যতা, অনন্য বৈশিষ্ট্য, নবীজি (সা.)-এর মানবতার প্রতি দান, যুগে যুগে তার প্রাসঙ্গিকতা ও আলেমদের অবদানসহ নানা বিষয় সংক্ষেপে উপস্থাপন করা হয়েছে। বইটির ভাষা এতটাই সহজ যে, এক বসায় শেষ করা যায়।
বইটির ভূমিকায় লেখক বলেন, ‘যারা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর পবিত্র সিরাত পাঠ করতে চান, তাদের জন্য বইটি প্রথমেই পড়া আবশ্যক। এতে পাঠক জানতে পারবে, সিরাতের মর্মণ্ডতাৎপর্য, বৈশিষ্ট্য ও আনুষঙ্গিক বিষয়াবলি। জানতে পারবে, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নবুওয়ত লাভের আগে মানবজাতি কতটা পথভ্রষ্ট ছিল। গোমরাহি, কুসংস্কার ও বিভ্রান্তির কতটা গভীরে তারা চলে গিয়েছিল। অবস্থা এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল, যদি আল্লাহ দয়া করে একজন রাসুল না পাঠাতেন, তবে আঁধার থেকে তাদের আলোর দিকে নিয়ে যাওয়ার কোনো উপায় ছিল না।’
বইটির অনুবাদক ‘অনুবাদকের কথা’য় লিখেছেন, ‘সিরাত পাঠ করতে হয় প্রিয় নবী (সা.)-কে জানতে। এটা কি কেবলই পাঠবিলাস? শুধুই জানার জন্যই পড়া? না এর মাঝে অন্য কোনো অন্তর্নিহিত রহস্য রয়েছে? সিরাত পাঠ কেন অপরিহার্য? নবীজি (সা.) এ পৃথিবীকে কী উপহার দিয়েছেন? কেনই-বা তিনি সতত প্রাসঙ্গিক, প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে, যুগ থেকে যুগান্তরে তার অবদান ঠিক কতটুকু? ওলামায়ে উম্মতকে কোন জিনিস প্রেরণা যুগিয়েছে সিরাত নিয়ে কাজ করতে? একটা জীবন তারা সিরাতচর্চায় কাটিয়ে দিয়েছেন কীসের আশায়? বর্বর আরবজাতিকে কেনই-বা নির্বাচন করা হলো দাওয়াত ইলাল্লাহর সুমহান কাজের জন্য? সর্বোপরি আরবরা পৃথিবীজুড়ে এত মর্যাদা অর্জন করেছে কোন গুণে? এর চমৎকার জবাব রয়েছে বইটিতে।’
বইটি প্রকাশ করেছে আল আমীন রিসার্চ পাবলিকেশন। প্রচ্ছদ করেছেন লেখক, সম্পাদক ও অনুবাদক মুফতি আবু নাঈম মুহাম্মদ সাজিদ। ১১২ পৃষ্ঠার বইটির দাম ১৫০ টাকা। পরিবেশনায় রয়েছে বাংলাবাজারের ইলমিয়া কুতুবখানা। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের পূর্ব চত্বরে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক ইসলামি বইমেলায় বইটি পাওয়া যাচ্ছে মাকতাবাতুল খিদমাহ (৭০ নম্বর) স্টলে।