অনলাইন সংস্করণ
১৩:৪৬, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
ত্বকের যত্নে সানস্ক্রিনের গুরুত্ব নতুন কিছু নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মির প্রভাব থেকে সুরক্ষিত রাখতে নিয়মিত সানস্ক্রিন ব্যবহার জরুরি। এর ফলে লালচে ভাব, চুলকানি, ঘামাচি কিংবা ত্বক পুড়ে যাওয়ার মতো সমস্যার ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়।
শুধু গ্রীষ্মেই নয়, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এখন শীত, গ্রীষ্ম ও বর্ষা—সব মৌসুমেই সানস্ক্রিন অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। এমনকি ঘরের ভেতরেও, বিশেষ করে রান্নার সময়, সানস্ক্রিন ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
যদিও ত্বকসচেতন মানুষের মধ্যে সানস্ক্রিন ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে, তবে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে এর দাম। বাজারে বেশিরভাগ সানস্ক্রিন বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়। তাই ৫০ থেকে ৮০ গ্রাম ওজনের মানসম্মত সানস্ক্রিন বিক্রি হচ্ছে ৮০০ টাকা থেকে ৫৫০০ টাকা পর্যন্ত। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত কম দামের কিছু সানস্ক্রিন পাওয়া গেলেও মান নিয়ে ভোক্তাদের আস্থা কম।
প্রতিদিন ব্যবহারের পরামর্শ
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা প্রতিদিন সানস্ক্রিন ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছেন। তাদের মতে, নিয়মিত ব্যবহার না করলে ত্বক অকালেই ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে এবং বয়সের ছাপ দ্রুত দেখা দিতে পারে। কিন্তু উচ্চমূল্যের কারণে অনেকের কাছে এই প্রয়োজনীয় পণ্য এখন বিলাসিতার মতো মনে হচ্ছে।
সাশ্রয়ী সমাধানের দাবি
ভোক্তাদের দাবি, দেশে মানসম্পন্ন সানস্ক্রিন উৎপাদন করা গেলে তা অনেক বেশি সাশ্রয়ী মূল্যে পাওয়া যাবে। এতে অসংখ্য মানুষ সহজেই ত্বকের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারবেন।
কোন সানস্ক্রিন বেছে নেবেন?
বিশেষজ্ঞরা জানান, সানস্ক্রিন বাছাইয়ের সময় অবশ্যই এসপিএফ (Sun Protective Factor) লক্ষ্য করতে হবে। বাংলাদেশের জন্য এসপিএফ-৩০ থেকে এসপিএফ-৫০ যথেষ্ট। যেখানে এসপিএফ-৩০ প্রায় ৯৭% আর এসপিএফ-৫০ প্রায় ৯৯% পর্যন্ত ক্ষতিকর রশ্মি প্রতিহত করতে সক্ষম। বিশেষ করে যারা সূর্যের নিচে বা চুলার সামনে কাজ করেন, তাদের জন্য এসপিএফ-৫০ সানস্ক্রিন সবচেয়ে কার্যকর।