অনলাইন সংস্করণ
১৩:৩৮, ১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫
শরীর যখন অতিরিক্ত স্ট্রেসে থাকে, পর্যাপ্ত পানি পায় না বা প্রয়োজনীয় পুষ্টির ঘাটতিতে ভোগে, তখন তার প্রভাব সরাসরি পড়ে ত্বকে। বলিরেখা, নিস্তেজ ভাব ও ক্লান্ত চোখ—সবই আসলে ভেতরের সমস্যার ইঙ্গিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, বয়সের ছাপ ঠেকাতে কেবল প্রসাধনী নয়, খাদ্যাভ্যাসেও পরিবর্তন জরুরি।
দৈনন্দিন কিছু খাবারে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন ও খনিজ উপাদান ত্বকের কোষকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে, কোলাজেন ধরে রাখতে সহায়তা করে এবং ত্বককে দৃঢ় রাখে। এসব উপাদান সঠিকভাবে মিশিয়ে তৈরি করা যায় কিছু সহজ পানীয়, যা নিয়মিত পান করলে ত্বকে বয়সের ছাপ পড়ার গতি কমতে পারে। চলুন জেনে নেওয়া যাক তেমনই চারটি কার্যকর পানীয় সম্পর্কে—
ডালিম–পুদিনা পানীয়
ডালিম পলিফেনল ও ভিটামিন সি–তে সমৃদ্ধ, যা ত্বকের কোষকে ফ্রি র্যাডিক্যালের ক্ষতি থেকে রক্ষা করে। এতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে, যা অকাল বার্ধক্যের অন্যতম কারণ। অন্যদিকে পুদিনা শরীর ঠান্ডা রাখে ও হজমে সহায়তা করে। পুদিনা পাতায় থাকা প্রাকৃতিক মেন্থল অন্ত্রকে প্রশমিত করে এবং পুষ্টি শোষণ বাড়ায়।
হলুদ–আদা পানীয়
হলুদে থাকা কারকিউমিন প্রদাহ-বিরোধী গুণের জন্য পরিচিত। আদা রক্ত সঞ্চালন বাড়াতে সাহায্য করে, যা ত্বকে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা আনতে সহায়ক। এর সঙ্গে সামান্য গোল মরিচ যোগ করলে কারকিউমিন শরীরে আরও ভালোভাবে শোষিত হয়। কারকিউমিন ও জিঞ্জেরোল একসঙ্গে প্রদাহ কমিয়ে ত্বকের বয়সজনিত ক্ষয় ধীর করতে সাহায্য করে।
গাজর–কমলার রস
গাজরে থাকা বিটা-ক্যারোটিন ভিটামিন এ–এর পূর্বসূরী, যা ত্বককে সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে রক্ষা করে। কমলার ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে, ফলে ত্বক থাকে টানটান ও প্রাণবন্ত। এই দুইয়ের সংমিশ্রণ ত্বকের ক্ষত সারাতে এবং উজ্জ্বলতা বাড়াতে কার্যকর।
অ্যালোভেরা–শসার পানীয়
অ্যালোভেরা জেলে রয়েছে ভিটামিন এ, সি ও ই, যা ত্বকের কোষ পুনর্গঠনে সহায়তা করে। শসা শরীরকে হাইড্রেট করে এবং ত্বকের ফোলাভাব ও শুষ্কতা কমায়। অ্যালোভেরা ত্বকের প্রাকৃতিক বাধা শক্তিশালী করে, আর শসার ইলেক্ট্রোলাইট ত্বককে সতেজ ও কোমল রাখে।