রাষ্ট্রপতি বিরোধী স্লোগান ও বিক্ষোভের মধ্যেই মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বীর ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন।
শুক্রবার (২১ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা ১ মিনিটে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তিনি।
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন রাত ১২টা বাজার ১ মিনিট আগে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে পৌঁছান। তাকে অভ্যর্থনা জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমেদ। কড়া নিরাপত্তায় রাষ্ট্রপতির গাড়িবহর শহীদ মিনার এলাকায় আসার পরপরই উপস্থিত শিক্ষার্থী-জনতা বিক্ষোভ শুরু করেন। এ সময় ‘গো ব্যাক চুপ্পু’ শ্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করে বলেন, জুলাই গণহত্যাকারী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দোসর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। স্বৈরাচার হাসিনার সকল অবৈধ ও বেআইনি কাজকে অনুমোদন করে জুলাই গণহত্যার সুযোগ তৈরি করেছেন দিয়েছেন তিনি। এমনকি জুলাই বিপ্লবেও শেখ হাসিনার হাজারো ছাত্রজনতার হত্যাকাণ্ডের অন্যতম কুশীলব তিনি।
বিপ্লবী ছাত্র পরিষদের আহ্বায়ক আবদুল ওয়াহেদ বলেন, চুপ্পুর সামনে পদত্যাগ করে বিচারের মুখোমুখি হওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। এই চুপ্পু ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রহসনের নির্বাচনকে বৈধতা দিয়ে, ফ্যাসিস্ট হাসিনার সরকারকে শপথ পড়িয়ে, তার সব অবৈধ ও বেআইনি কাজকে অনুমোদন দিয়েছিল। এমনকি শেখ হাসিনার পক্ষ নিয়ে জুলাই বিপ্লবেও দেশে গণহত্যার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন। এই চুপ্পুর শহীদ মিনারে এসে শ্রদ্ধা জানানো ভন্ডামী ছাড়া আর কিছুই না।
তবে এই বিক্ষোভের মধ্যেই ভাষা শহীদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করে শহীদ মিনার এলাকা থেকে বিদায় নেন রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন। এরপর শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানান অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহম্মদ ইউনূস এবং প্রধান বিচারপ্রতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। পরে উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যরা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং তারপর তিন বাহিনীর প্রধানগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করেছেন।
উল্লেখ্য, জুলাই গণহত্যার শহীদদের স্মরণে কালো পতাকা মিছিল বের করে একুশের প্রথম প্রহরে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আগমন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছিল বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ।