মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র সংগঠন আরসার প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনিকে গ্রেপ্তারের খবর গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিকট বিস্ফোরণের শব্দে সীমান্ত এলাকার মানুষের মধ্যে আবারও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বিস্ফোরণের শব্দ শোনার পরপরই এপার থেকে মংডু শহরে আগুনের কুন্ডলী দেখা গেছে।
বুধবার (১৯ মার্চ) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সাবরাং ইউপির ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান শরীফ আহমদ।
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান শরীফ আহমদ বলেন, প্রায় ১৭ দিন বিরতির পর সীমান্তের ওপারে মিয়ানমার অভ্যন্তর থেকে আবারও বিস্ফোরণের বিকট শব্দ ভেসে এসেছে। রাত সোয়া ৮টার দিকে আকস্মিক বিস্ফোরণের বিকট এ শব্দ শোনা যায়। আর বিস্ফোরণের শব্দটি শোনার পরপরই মংডু শহরে আগুন জ্বলতে দেখা গেছে। মঙ্গলবার রাত ১০টার সময়ও এপার থেকে আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যাচ্ছে।
আরসা প্রধান আতাউল্লাহ’র গ্রেপ্তারের খবর গণমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার বিস্ফোরণের বিকট এ শব্দে সীমান্তবর্তী এলাকার মানুষের মাঝে আবারও আতঙ্ক দেখা দিয়েছে বলে জানান স্থানীয় এ ইউপি সদস্য।
গত রোববার (১৬ মার্চ) মধ্যরাতে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করতে গোপন বৈঠকের সময় নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ ও ময়মনসিংহে পৃথক অভিযান চালিয়ে রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র বিদ্রোহী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (এআরএসএ বা আরসা) ১০ সদস্যকে গ্রেপ্তার করে র্যাব।
সাধারণ রোহিঙ্গাদের দাবি, আরসা প্রধানকে আটক করাই ক্যাম্পে অস্থিরতা হতে পারে। তাই তারা বাড়তি নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানান।
আবা/এসআর/২৫