ঢাকা রোববার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

পাচারকৃত সম্পদ ফিরিয়ে দিতে যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান

পাচারকৃত সম্পদ ফিরিয়ে দিতে যুক্তরাজ্যের প্রতি আহ্বান

যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ এবং তাদের মাধ্যমে পাচার হওয়া সম্পদ বাংলাদেশে ফিরিয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে দুর্নীতিবিরোধী আন্তর্জাতিক তিন সংস্থা—ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি), ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ইউকে এবং স্পটলাইট অন করাপশন।

মঙ্গলবার (১০ জুন) দেওয়া এক যৌথ বিবৃতিতে সংস্থাগুলো যুক্তরাজ্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানায়, সন্দেহভাজন বাংলাদেশি অর্থপাচারকারীদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ এবং জব্দকৃত সম্পদ ফেরত পাঠাতে আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার কার্যক্রম জোরদার করতে হবে।

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, 'বাংলাদেশে জবাবদিহিমূলক শাসনব্যবস্থা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সম্ভাবনাময় এই সময়ে যুক্তরাজ্যকে জরুরি ভিত্তিতে সহযোগিতার হাত বাড়াতে হবে। পাচার হওয়া সম্পদ ফিরিয়ে দেওয়াটা শুধু অর্থনৈতিক নয়, রাজনৈতিক বার্তাও বহন করবে।'

স্পটলাইট অন করাপশনের নির্বাহী পরিচালক সুসান হাওলি সরাসরি পদক্ষেপের তাগিদ দিয়ে বলেন, 'এখনই সময়, অর্থ জব্দে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে।'

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ইউকে-এর নীতিনির্ধারক ডানকান হেমস বলেন, 'যুক্তরাজ্য সরকার যদি অর্থপাচারের বিরুদ্ধে তার অবস্থানকে বাস্তবে প্রতিফলিত করতে চায়, তবে বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া ৪০০ মিলিয়ন পাউন্ডের সম্পদের বিষয়ে তদন্ত ও আইনানুগ পদক্ষেপ জরুরি।'

দ্য অবজারভার এবং ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল ইউকে পরিচালিত এক যৌথ অনুসন্ধানে জানা গেছে, শেখ হাসিনার ঘনিষ্ঠদের মালিকানাধীন যুক্তরাজ্যে অন্তত ৪০০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের সম্পদের সন্ধান মিলেছে। ইতোমধ্যে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (NCA) প্রায় ৯০ মিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের সম্পদ জব্দ করেছে।

বর্তমানে চার দিনের সফরে যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর গড়ে ১১ বিলিয়ন পাউন্ড (১৬ বিলিয়ন ডলার) করে পাচার হওয়া অর্থ পুনরুদ্ধারে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

বাংলাদেশ সরকারের শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিশনের হিসাব অনুযায়ী, এ সময় মোট পাচার হয়েছে ২৩৪ বিলিয়ন ডলার।

এদিকে যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার শান্তি, জবাবদিহি ও স্বচ্ছতা নিশ্চিতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। ব্রিটিশ পররাষ্ট্র সচিবও জানিয়েছেন, 'অর্থপাচারের স্বর্ণযুগ শেষ হয়েছে।'

পাচার,যুক্তরাজ্য,দুর্নীতিবিরোধী,টিআইবি
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত