আন্তঃশিক্ষা বোর্ড পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কমিটির আহ্বায়ক এবং ঢাকা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার জানিয়েছেন, করোনা ও ডেঙ্গুর বিস্তার নিয়ে তারা উদ্বিগ্ন। অভিভাবকেরাও শঙ্কা প্রকাশ করে যোগাযোগ করছেন। তবুও নির্ধারিত সময়েই ২৬ জুন থেকে পরীক্ষা শুরু হবে বলে জানান তিনি। একই কথা বলেন বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ইউনুস আলী সিদ্দিকী। তার মতে, সংক্রমণের বর্তমান হারে পরীক্ষা স্থগিত করার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে পরীক্ষার্থীদের মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হবে এবং আসন বিন্যাসে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখা হবে।
এদিকে পরীক্ষাকেন্দ্র সংখ্যা বাড়িয়ে দ্রুত পরীক্ষা শেষ করার দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকেরা। তারা বলছেন, পরীক্ষার্থীরা সিলেবাস শেষ করেছে এবং প্রস্তুত রয়েছে। তাই অটোপাস না দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষা নেওয়াই হবে সঠিক সিদ্ধান্ত। রাজধানীর হলিক্রস স্কুল অ্যান্ড কলেজের এক শিক্ষার্থীর মা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, বড় বড় কলেজগুলোর নিজস্ব কেন্দ্রে পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দিলে শিক্ষার্থীদের ঝুঁকি কমবে।
শিক্ষকরাও এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের কলেজ শাখার একজন প্রভাষক জানান, পরীক্ষার ডিউটি করতে হবে—তা মেনে নেওয়া ছাড়া উপায় নেই। কিন্তু করোনা ও ডেঙ্গুর সংক্রমণ বাড়ায় নিজের এবং শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিয়ে দুশ্চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। কারণ পরীক্ষার সময় তিন ঘণ্টা হলেও শিক্ষক-পরীক্ষার্থীদের অনেক আগেই কেন্দ্রে উপস্থিত হতে হয়, যেখানে স্বাস্থ্যবিধি মানা কঠিন হয়ে পড়ে।
সব মিলিয়ে করোনার নতুন ঢেউয়ের মধ্যেও এইচএসসি পরীক্ষা নির্ধারিত সময়েই নেওয়ার সরকারি সিদ্ধান্তে স্বস্তির চেয়ে উদ্বেগই বেশি থাকছে সংশ্লিষ্টদের মাঝে।