ঢাকার উত্তরা দিয়াবাড়ি এলাকায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় উদ্ধার তৎপরতা চলাকালীন জনতার উপস্থিতি ও একটি অনভিপ্রেত ঘটনার প্রসঙ্গে আনুষ্ঠানিক সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিকেলে সেনাবাহিনীর অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গতকাল (২১ জুলাই) দুপুর আনুমানিক ১টা ১৮ মিনিটে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। মর্মান্তিক এই ঘটনায় শিশুসহ নিরীহ কিছু নাগরিক হতাহত হন।
দুর্ঘটনার পরপরই কাছাকাছি অবস্থিত সেনাবাহিনীর ক্যাম্প থেকে সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। ফায়ার সার্ভিসসহ অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে সমন্বিতভাবে আহতদের দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করতে তারা সক্রিয় ভূমিকা পালন করে।
তবে, উদ্ধার কাজ চলাকালে বিপুলসংখ্যক উৎসুক জনতার উপস্থিতি উদ্ধারকাজে বারবার বিঘ্ন ঘটায়। বারবার অনুরোধ করেও তারা সরে না যাওয়ায় সময়মতো আহতদের হাসপাতালে স্থানান্তর করা কঠিন হয়ে পড়ে, যা প্রাণহানির ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া, সেনাবাহিনীর ভাষ্যমতে, উদ্ধার কার্যক্রমে দায়িত্ব পালনকারী ১৪ জন সেনাসদস্য শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে বর্তমানে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, বিকেলের দিকে বারংবার অনুরোধ সত্ত্বেও কিছু জনতা ঘটনাস্থল ত্যাগ না করায় পরিস্থিতি জটিল হয়ে পড়ে। এ সময় সেনাসদস্য ও স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে কিছু জনতার ভুল বোঝাবুঝি ও কথাকাটাকাটি হয়, যা একপর্যায়ে একটি অনভিপ্রেত ঘটনার রূপ নেয়।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তদন্তে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।