অনলাইন সংস্করণ
১৫:৩৮, ৩০ জুলাই, ২০২৫
তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের দ্বন্দ্ব মেটাতে ৭ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফম খালিদ হোসেন।
বুধবার (৩০ জুলাই) সচিবালয়ে নিজ দফতরে তাবলিগের দুই পক্ষের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা জানান। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন।
কমিটিতে দুই পক্ষেরই প্রতিনিধি থাকবেন জানিয়ে ড. খালিদ হোসেন বলেন, আশা করি, এই কমিটির মাধ্যমে উভয় পক্ষ সমঝোতায় পৌঁছাতে পারবে। সামনে সংঘাতের পথ বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা এটাই চাচ্ছি।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, তাবলিগ জামাতের দুই গ্রুপ অনেকদিন ধরে আমাদের সঙ্গে বৈঠক করতে চাচ্ছিলেন আমরা সময় দিতে পারিনি। আজ তাদের সঙ্গে বৈঠকের দিন নির্ধারিত ছিল। যদিও সময় আলাদা আলাদা ছিল। কিন্তু আমরা একসঙ্গে বৈঠক করেছি। বৈঠকে দুই গ্রুপের সম্মানিত মুরুব্বিরা ছিলেন।
তিনি আরও বলেন, কিছু সমস্যা দুই গ্রুপের মধ্যে আছে সেগুলোকে সহনীয় পর্যায়ে আনার জন্য অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আমরা কথা বলেছি। আগামী দিনে তাদের সঙ্গে আরও বৈঠক করবো। একটু কাছাকাছি নিয়ে আসা। আপনারা জানেন গত বছর একটা হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। এরকম পরিস্থিতি যাতে আগামী দিনে পুনরাবৃত্তি না ঘটে, এ ব্যাপারে উভয়পক্ষের সহযোগিতা চেয়েছি।
ড. খালিদ হোসেন বলেন, ২০২৪ সালে আমরা যখন বারবার বৈঠক করেছি, উভয় গ্রুপ একসঙ্গে বসতে সম্মত ছিলেন না। এটাই প্রথম উভয় গ্রুপ দুজন উপদেষ্টার সঙ্গে বসে আলাপ-আলোচনা করার সুযোগ করে দিল।
দুই পক্ষের একসাথে ইজতেমা করা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, একসাথে ইজতেমা করা নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। কমিটি গঠন করা হচ্ছে, যাতে আগামীতে দুই গ্রুপই শান্তিপূর্ণভাবে আলাদাভাবে ইজতেমা করতে পারে।
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় ধর্ম অবমাননাকে কেন্দ্র করে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের বসতবাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ধর্ম নিয়ে কটাক্ষ করা ঠিক নয়। এতে সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হয়। রংপুরের গঙ্গাচড়ায় যে কটুক্তি করেছে, তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে যারা বাড়িঘরে ভাংচুর চালিয়েছে, তাদের এটা করা ঠিক হয়নি।
এ ঘটনায় মামলা করা হলে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান ড. খালিদ হোসেন।