অনলাইন সংস্করণ
১৯:৫২, ৩০ জুলাই, ২০২৫
রাজধানীজুড়ে ডিএমপির সাঁড়াশি অভিযানে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একই সময়ে দায়ের হয়েছে ৩৩টি মামলা।
বুধবার (৩০ জুলাই) মিন্টু রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
তিনি জানান, ঢাকা মহানগরীর ৫০টি থানায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৪৭১টি টহল টিম মাঠে ছিল। এর মধ্যে ২৫৯টি টিম রাতের বেলা এবং ২১২টি দিনব্যাপী দায়িত্ব পালন করে। টহল কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মোতায়েন ছিল ২১২টি মোবাইল পেট্রোল, ২০টি ফুট পেট্রোল ও ২৭টি হোন্ডা পেট্রোল ইউনিট। শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত স্থানে বসানো হয় ৬৬টি চেকপোস্ট।
অভিযানকালে যাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে তাদের মধ্যে একজন ডাকাত, পাঁচজন চোর, ১৩ জন মাদক ব্যবসায়ী, দুইজন প্রতারক এবং ১২ জন পরোয়ানাভুক্ত আসামি রয়েছেন। গ্রেপ্তার অভিযানে উদ্ধার করা হয়েছে ১১টি মোবাইল ফোন, একটি বাস এবং ১৩ হাজার ১৮০ টাকা নগদ অর্থ।
মাদকের তালিকায় রয়েছে ১০ হাজার ৬৫ পিস ইয়াবা, ১ কেজি ৪০ গ্রাম গাঁজা, ৭৪ বোতল ফেনসিডিল এবং ১ গ্রাম হেরোইন।
ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি) এর ওয়ারী জোন থেকে ১২৩টি চোরাই মোবাইল উদ্ধার করে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। তেজগাঁও বিভাগের ডিবি কবজি কাটা খ্যাত কিশোর গ্যাং ‘আনোয়ার গ্রুপ’-এর দুই সদস্য নিশাত ও রাসেলকে গ্রেপ্তার করেছে। তারা জননিরাপত্তা বিঘ্নিত করাসহ একাধিক অপরাধে জড়িত বলে জানায় ডিবি।
গুলশানে সাবেক এক সংসদ সদস্যের বাড়িতে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবির ঘটনায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া গেছে চারটি চেক, যার মোট অঙ্ক ২ কোটি ২৫ লাখ টাকা। এই ঘটনায় কলাবাগান থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ডিএমপির পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুলাই পর্যন্ত ঢাকা মহানগরের ৫০টি থানায় মোট ৩৩টি ডাকাতি, ২৪৮টি ছিনতাই, ১৫৪টি খুন এবং ১ হাজার ৬৮টি চুরির মামলা রুজু হয়েছে। বর্তমানে ৭ হাজার ৮১২টি মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। একই সময়ে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ২ হাজার ৮৪৫টি মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৮২টি গাড়িকে ডাম্পিং ও ৯২টি গাড়িকে রেকার করা হয়েছে।
ডিএমপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নগরবাসীর নিরাপত্তা ও ট্রাফিক শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে সাঁড়াশি অভিযান অব্যাহত থাকবে।