অনলাইন সংস্করণ
১৮:০০, ৩১ জুলাই, ২০২৫
১০০ আসনের একটি উচ্চকক্ষ গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। সংসদ নির্বাচনে প্রাপ্ত ভোটের অনুপাতে (প্রপোরশনাল রিপ্রেজেন্টেশন বা পিআর পদ্ধতি) রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে উচ্চকক্ষের আসন বণ্টনের প্রস্তাব করা হয়েছে। তবে কমিশনের এ সিদ্ধান্তে রাজি নয় বিএনপি ও তাদের মিত্র জোটগুলো। দলটি ‘নোট অব ডিসেন্ট’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সংলাপের ২৩তম দিনে কমিশনের পক্ষ থেকে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতভেদ থাকায় বিষয়টি কমিশনের ওপর ন্যস্ত করা হয়েছিল।
কমিশনের প্রস্তাব অনুযায়ী, উচ্চকক্ষের আইন প্রণয়নের নিজস্ব ক্ষমতা থাকবে না। অর্থবিল ছাড়া অন্যান্য বিল নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষে উভয় কক্ষে উত্থাপন করতে হবে। উচ্চকক্ষ কোনো বিল স্থায়ীভাবে আটকে রাখতে পারবে না। এক মাসের বেশি বিল আটকে রাখলে, তা অনুমোদিত বলে গণ্য হবে।
উচ্চকক্ষ মূলত বিল পর্যালোচনা, বিশ্লেষণ ও সুপারিশ প্রদানের কাজ করবে। কোনো বিল প্রত্যাখ্যান করলে তা সংশোধনের প্রস্তাবসহ নিম্নকক্ষে পাঠানো হবে। নিম্নকক্ষ সংশোধন আংশিক, পূর্ণ অথবা পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করতে পারবে।
তবে বিএনপি, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২ দলীয় জোট, এনডিএম ও এলডিপি দাবি করেছে— উচ্চকক্ষে আসন বরাদ্দ হতে হবে নিম্নকক্ষে প্রাপ্ত আসনের ভিত্তিতে। তারা উচ্চকক্ষের ক্ষমতা নিয়েও আপত্তি তুলেছে।
এদিকে, সিপিবি, বাসদ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম উচ্চকক্ষ গঠনের বিরোধিতা করেছে। তাদের মতে, দেশের বর্তমান সামাজিক ও অর্থনৈতিক বাস্তবতায় উচ্চকক্ষের প্রয়োজন নেই।