
আজ ৫ আগস্ট। ঐতিহাসিক ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান দিবস’। ২০২৪ সালের এই দিনে, ছাত্র-জনতার এক অভূতপূর্ব আন্দোলনের মাধ্যমে পতন হয় তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ১৬ বছরের স্বৈরাচারী শাসন ব্যবস্থার।
এই অভ্যুত্থান পরবর্তীতে ‘৩৬ জুলাই’ নামে পরিচিতি পায়। দিনটি এখন জাতীয়ভাবে পালন করা হয়। আজ সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। রাজধানী ঢাকা থেকে শুরু করে সারাদেশের মানুষ দিবসটি উদ্যাপন করছে নানা আয়োজনে।
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) ঢাকার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে দিনব্যাপী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে 'জুলাই পুনর্জাগরণ অনুষ্ঠানমালা'-এর মূল মঞ্চ, সাউন্ড ও লাইটিং সিস্টেমের প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। এছাড়া অনুষ্ঠানস্থল এবং আশেপাশের এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
সকাল ৯টায় দেশের ৬৪ জেলায় ‘জুলাই শহীদ স্মৃতিস্তম্ভে’ পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হবে। সকল ধর্মীয় উপাসনালয়ে মোনাজাত ও প্রার্থনা করা হবে।
বিকেল ৫টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজায় দিবসটির অন্যতম কেন্দ্রীয় আয়োজন অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ করবেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশ টেলিভিশন অনুষ্ঠানটি সরাসরি সম্প্রচার করবে।
সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে থাকবে বিশেষ ড্রোন শো। এরপর রাত ৮টায় পরিবেশিত হবে ব্যান্ডদলের বিশেষ সংগীতানুষ্ঠান।
সোমবার রাত থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। উচ্চ ধারণক্ষমতাসম্পন্ন সিসি ক্যামেরা ও গোয়েন্দা নজরদারি শুরু হয়েছে। তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার ইবনে মিজান এবং র্যাব-২ এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি খালিদুল হক হাওলাদার জানান, ইউনিফর্ম ও সাদা পোশাকে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ ও র্যাব সদস্য মোতায়েন থাকবে।
আবা/এসআর/২৫