অনলাইন সংস্করণ
১৩:৫০, ১২ আগস্ট, ২০২৫
বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম। একইসঙ্গে, মিয়ানমার ইস্যুতে আসিয়ান সদস্য রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে ঐক্য ও সমন্বিত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন তিনি।
মালয়েশিয়া সফররত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষে যৌথ ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) মালয়েশিয়ার সংবাদমাধ্যম মালয় মেইল-এর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ব্রিফিংয়ে আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং শরণার্থী সংকট মোকাবিলা করা মালয়েশিয়ার অন্যতম অগ্রাধিকার। বিশেষ করে, বিপুল সংখ্যক বাস্তুচ্যুত মানুষকে আশ্রয় দিয়ে যে চাপ বাংলাদেশ বহন করছে, মালয়েশিয়া এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের পাশে থাকবে।
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, ভূমিকম্পের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত এবং শরণার্থীদের জন্য জরুরি মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া অত্যন্ত জরুরি। একই সঙ্গে, মিয়ানমার সংকট সমাধানে আঞ্চলিক সহযোগিতার প্রচেষ্টাকে অগ্রাধিকার দিতে হবে।
তিনি বলেন, “আমি বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষকে নিউইয়র্ক, কাতার এবং এখানে মালয়েশিয়াতে বহুপাক্ষিক ফোরামে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য প্রশংসা করি।”
মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, “আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী (মোহম্মদ হাসান) ইন্দোনেশিয়া, ফিলিপাইন এবং থাইল্যান্ডের সঙ্গে সমন্বয় করে আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে মিয়ানমার সফর করবেন, যাতে সেখানে শান্তি নিশ্চিত করা যায় এবং কিছু জাতিগত সংখ্যালঘু ও মিয়ানমারের জনগণের ওপর যে নৃশংসতা চলছে, তার একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান হয়।”
এর আগে স্থানীয় সময় সোমবার (১১ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টা ৫০ মিনিটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান প্রধান উপদেষ্টা। আজ মঙ্গলবার বিকেলে একটি ব্যবসায় ফোরামে অংশ নেবেন তিনি। এরপর মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় অংশ নেবেন প্রধান উপদেষ্টা।
আগামীকাল বুধবার (১৩ আগস্ট) ইউনিভার্সিটি কেবাংসান মালয়েশিয়ার (ইউকেএম) আচার্য ও নেগেরি সেমবিলান রাজা তুয়াংকু মুহরিয ইবনি আলমারহুম তুয়াংকু মুনাওয়ির সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন প্রধান উপদেষ্টা। এরপর ড. ইউনূসকে একটি সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রি তুলে দেবে ইউকেএম বিশ্ববিদ্যালয়টি। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে একটি স্মারক বক্তৃতাও দেবেন তিনি।