অনলাইন সংস্করণ
১৭:০৩, ১৪ আগস্ট, ২০২৫
স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিইনি। নির্বাচন করলে তফসিলের আগেই উপদেষ্টার পদ ছেড়ে দেব। এনসিপিতেই যোগ দেবেন কিনা তা নিশ্চিত নই।
বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
আসিফ মাহমুদ বলেন, যাদের রাজনৈতিক পরিচয় আছে, অর্থাৎ আগে রাজনীতি করেছেন বা পরবর্তী সময়ে করবেন বলে চিন্তা আছে, সবারই সরকার থেকে সরে যাওয়া উচিত। কারণ তিনিও তো সরকারে থেকে নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে পারেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, নির্বাচনকালীন সরকার বলতে তফসিল ঘোষণার পর যে সরকার দায়িত্বে থাকবে, তিনি সেই সরকারকে বুঝিয়েছেন।
দেশের জনগণ গণঅভ্যুত্থানের সফলতা পেয়েছে উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা বলেন, সরকারের সফলতা কতটুকু পেয়েছে সেটা বলতে পারবো না, তবে এটা বলতে পারি যে দ্রব্যমূল্য ও আইন-শৃঙ্খলা অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল।
তিনি আরও বলেন, মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা এই সরকার কতটা পূরণ করতে পেরেছে, আমি তা জানি না। তবে মানুষের অনেক আকাঙ্ক্ষাই হয়তো পূরণ হয়েছে, আবার অনেকগুলো হয়তো পূরণ হয়নি। তবে সরকারের পক্ষ থেকে চেষ্টা ছিল।
গুলশানে সাবেক নারী সংসদ সদস্যের (এমপি) বাসায় গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) বহিষ্কৃত নেতা জানে আলম অপুর চাঁদাবাজির ঘটনায় নিজের সংশ্লিষ্টতা নেই বলে জানান আসিফ মাহমুদ। তিনি বলেন, চাঁদাবাজির সঙ্গে আমার কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই, যা বলা হচ্ছে তা রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। একজনের (অপু) যে স্টেটমেন্ট নেওয়া হয়েছে, তা জোর করে নেওয়া হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, তার (অপু) স্টেটমেন্টে আমার নাম আসার পর এক রকম অবাক হয়েছি। ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের পর তার সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। তার স্ত্রী পরিচয়ে একজন আজ বলেছেন, তাকে জোর করে গুম করে স্টেটমেন্ট নেওয়া হয়েছে। গোয়েন্দাদের পক্ষ থেকেও এমন শুনছি যে, গুম করে নিয়ে এমন স্টেটমেন্ট নেওয়া হয়েছে। ৫ আগস্টের পর এমন ঘটনা মেনে নেওয়া যায় না।
আসিফ মাহমুদ বলেন, ওইদিন সকালে ওয়েস্টিনে গিয়েছিলাম কি না, মনে নেই। তবে হেলমেট পরা যে কাউকে যে কারও সঙ্গে মিলিয়ে প্রশ্ন তোলা যায়।
