ঢাকা সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

জুলাইয়ে সড়কে ঝরেছে ৪১৮ প্রাণ, মোটরসাইকেলেই বেশি

জুলাইয়ে সড়কে ঝরেছে ৪১৮ প্রাণ, মোটরসাইকেলেই বেশি

চলতি বছরের জুলাই মাসে সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন ৪১৮ জন এবং আহত হয়েছেন ৮৫৬ জন। ওই মাসে মোট ৪৪৩টি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটেছে—এ ধরনের দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১০৯ জন। সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে ঢাকায়, সংখ্যা ১১৭টি—অঞ্চলভিত্তিক হিসেবে যা সর্বোচ্চ।

মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) বেসরকারি সংস্থা রোড সেফটি ফাউন্ডেশন প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী—নিহতদের মধ্যে নারী ছিলেন ৭২ জন (১৭.২২%) এবং শিশু ৫৩ জন (১২.৬৭%)। যানবাহনভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় সর্বাধিক প্রাণহানি হলেও থ্রি-হুইলার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১০৮ জন (২৫.৮৪%), বাস দুর্ঘটনায় নিহত ৪১ জন এবং ট্রাক-পিকআপ দুর্ঘটনায় প্রাণ গেছে ৩০ জনের।

সময়ভিত্তিক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে সকালে (২৯.৫৭%), এরপর দুপুরে (২১.৮৯%) এবং রাতে (১৫.৩৪%)।

অঞ্চলভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, ঢাকা বিভাগে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটেছে- ১১৭টি দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ১০৫ জন। এককভাবে ঢাকা জেলাতেই দুর্ঘটনা ঘটেছে ৪৭টি, প্রাণহানি হয়েছে ৩৪ জনের। রাজধানীতে ২৬টি দুর্ঘটনায় ১৯ জন নিহত এবং ৩৮ জন আহত হয়েছেন।

সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণ–

রোড সেফটি ফাউন্ডেশনের মতে, সড়ক দুর্ঘটনার প্রধান কারণসমূহ হলো– ১. ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন, ২. ত্রুটিপূর্ণ সড়ক, ৩. বেপরোয়া গতি, ৪. চালকদের বেপরোয়া মানসিকতা, অদক্ষতা ও শারীরিক-মানসিক অসুস্থতা ৫. বেতন-কর্মঘন্টা নির্দিষ্ট না থাকা, ৬. মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন চলাচল, ৭. তরুণ-যুবকদের বেপরোয়া মোটরসাইকেল চালানো, ৮. জনসাধারণের মধ্যে ট্রাফিক আইন না জানা ও না মানার প্রবণতা, ৯. দুর্বল ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, ১০. বিআরটিএ-র সক্ষমতার ঘাটতি এবং ১১. গণপরিবহন খাতে চাঁদাবাজি।

সুপারিশ

দুর্ঘটনা কমাতে বিভিন্ন সুপারিশ তুলে ধরেছে রোড সেফটি ফাউন্ডেশন। এগুলো হলো–

  • দক্ষ চালক তৈরির উদ্যোগ বৃদ্ধি করতে হবে;
  • চালকদের বেতন-কর্মঘণ্টা নির্দিষ্ট করতে হবে;
  • বিআরটিএর সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে;
  • পরিবহন মালিক-শ্রমিক, যাত্রী ও পথচারীদের প্রতি ট্রাফিক আইনের বাধাহীন প্রয়োগ নিশ্চিত করতে হবে;
  • মহাসড়কে স্বল্পগতির যানবাহন বন্ধ করে এগুলোর জন্য আলাদা পার্শ্ব রাস্তা (সার্ভিস রোড) তৈরি করতে হবে;
  • পর্যায়ক্রমে সব মহাসড়কে রোড ডিভাইডার নির্মাণ করতে হবে;
  • গণপরিবহনে চাঁদাবাজি বন্ধ করতে হবে;
  • রেল ও নৌ-পথ সংস্কার করে সড়ক পথের উপর চাপ কমাতে হবে;
  • টেকসই পরিবহন কৌশল প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে হবে;
  • সড়ক পরিবহন আইন-২০১৮ বাধাহীনভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে।
রোড সেফটি ফাউন্ডেশন,সড়ক দুর্ঘটনা,মোটরসাইকেল,প্রতিবেদন
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত