অনলাইন সংস্করণ
১৭:৪১, ১৯ আগস্ট, ২০২৫
অবৈধ গ্যাস সংযোগ উচ্ছেদে রাজধানীসহ আশপাশের জেলায় দিনভর সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করেছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন পিএলসি।
সোমবার পরিচালিত এসব অভিযানে শতাধিক আবাসিক ও বাণিজ্যিক সংযোগ বিচ্ছিন্নের পাশাপাশি কয়েকজন ব্যবহারকারীর কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
গাজীপুরের সফিপুর, পশ্চিমপাড়া ও কালিয়াকৈর এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিমন সরকার-এর নেতৃত্বে অভিযান চালানো হয়। এতে প্রায় ২০টি বহুতল ভবন ও ৫টি টিনসেড বাড়ির ২৬০টি ডাবল চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
এ সময় ৬ জন গ্রাহকের অনুমোদনবহির্ভূত চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং বিভিন্ন ব্যাসের ২৫০ ফুট পাইপ, ৪০ ফুট প্লাস্টিক পাইপ ও ৫টি অবৈধ রেগুলেটর জব্দ করা হয়।
এছাড়া এক গ্রাহকের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ঢাকার মধ্যে একই দিনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিজা খাতুন-এর নেতৃত্বে রাজধানীর তুরাগ এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এখানে Tex World Food Dyeing ও এস এম ওয়াশিং প্ল্যান্ট-এ অবৈধভাবে গ্যাস ব্যবহারের প্রমাণ মেলে। এ ছাড়া আরও ৫৪টি ডাবল চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
অভিযানে ২০০ ফুট পাইপলাইন ও ৬টি রেগুলেটর জব্দ করা হয় এবং ২ জন বাণিজ্যিক ও ২ জন আবাসিক গ্রাহকের কাছ থেকে মোট ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
নারায়ণগঞ্জে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুর রহমান-এর নেতৃত্বে রূপগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১৯০টি বাড়িতে ২১০টি ডাবল চুলার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এসময় ৬২ ফুট পাইপ, ৫০ ফুট হোস পাইপ ও একটি রেগুলেটর জব্দ করা হয়।
অভিযানে ২ জন বাণিজ্যিক ব্যবহারকারীর কাছ থেকে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
এছাড়া নারায়ণগঞ্জের মুক্তারপুর, মুন্সিগঞ্জ ও ফতুল্লায় ভিজিল্যান্স টিম বিশেষ অভিযান চালায়। এ সময় কয়েকটি শিল্প প্রতিষ্ঠানের গ্যাস ব্যবহারে অনিয়ম ধরা পড়ে এবং সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে অতিরিক্ত সংযোগ অপসারণের নির্দেশনা দেওয়া হয়।
বিএসটিআই জানিয়েছে, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর থেকে চলতি বছরের ১৮ আগস্ট পর্যন্ত মোট ৬৫ হাজার ৯৫১টি অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এর মধ্যে ২৯৬টি শিল্প, ৩৫৯টি বাণিজ্যিক ও ৬৫ হাজার ২৯৬টি আবাসিক সংযোগ রয়েছে।
একই সময়ে ১ লাখ ২৫ হাজার ১৩৮টি বার্নার বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং প্রায় ২৫০ কিলোমিটার পাইপলাইন অপসারণ করা হয়েছে।