ঢাকা শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সরকারি চাকরিতে অপেক্ষমাণ তালিকা বাধ্যতামূলক: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

সরকারি চাকরিতে অপেক্ষমাণ তালিকা বাধ্যতামূলক: জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়

সরকারি চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া সহজ করতে এবার থেকে ১০ম থেকে ১২তম গ্রেডের নিয়োগে অপেক্ষমাণ তালিকা রাখা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

সোমবার (২৫ আগস্ট) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান স্বাক্ষরিত এক পরিপত্রে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, প্রতিটি পদের বিপরীতে দুজন প্রার্থীকে অপেক্ষমাণ তালিকায় রাখা হবে। মূল তালিকা থেকে কেউ যোগ না দিলে বা যোগ দেওয়ার পর চাকরি ছেড়ে দিলে ওই তালিকা থেকে প্রার্থী নিয়োগ পাবেন। এ তালিকার মেয়াদ থাকবে এক বছর।

এর আগে ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের নিয়োগে অপেক্ষমাণ তালিকা সংরক্ষণের নিয়ম চালু করা হয়। নতুন পরিপত্র জারির ফলে এখন থেকে ১০ থেকে ২০তম গ্রেড পর্যন্ত সব নিয়োগেই এই নিয়ম কার্যকর হবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানায়, অপেক্ষমাণ তালিকা থাকলে কোনো পদ দীর্ঘদিন খালি থাকবে না। এতে চাকরি প্রার্থীদের বারবার আবেদন করার ঝামেলাও কমবে এবং সরকারের ব্যয় হ্রাস পাবে। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় বিদ্যমান কোটা পদ্ধতি অনুসরণ করা হবে এবং প্রতিটি পদের জন্য মেধাক্রমে দুজন প্রার্থীর নাম সিলগালাকৃত খামে সংরক্ষণ করা হবে।

তালিকা থেকে নিয়োগের ক্ষেত্রে প্রার্থীদের প্রথমে মোবাইল ফোন ও এসএমএসের মাধ্যমে জানানো হবে, এরপর রেজিস্ট্রি ডাকেও চিঠি পাঠানো হবে। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সাড়া না দিলে তালিকায় পরের জনকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ ফিরোজ মিয়া বলেন, “অপেক্ষমাণ তালিকা থাকলে চাকরিপ্রার্থীরা অনেক উপকৃত হবেন। একই দপ্তরে বারবার আবেদন করতে হবে না। সরকারের খরচও কমবে এবং সহজেই শূন্য পদ পূরণ সম্ভব হবে।”

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, বর্তমানে সরকারি চাকরিতে অনুমোদিত ১৯ লাখ ১৬ হাজার ৫১৯টি পদের মধ্যে ৪ লাখ ৭৩ হাজারের বেশি পদ শূন্য রয়েছে। এর মধ্যে ১০ম থেকে ২০তম গ্রেডে শূন্য পদ প্রায় সাড়ে ৪ লাখ।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়,অপেক্ষমাণ তালিকা বাধ্যতামূলক,সরকারি চাকরি
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত