অনলাইন সংস্করণ
১৮:২৮, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৫
নিবন্ধন পেতে আগ্রহী নতুন ২২টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে যোগ্যদের বিষয়ে চলতি সেপ্টেম্বরে চূড়ান্ত গেজেট প্রকাশের কথা ভাবছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এরপরই ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামানে রেখে অংশীজনদের সঙ্গে সংলাপ শুরু করতে চায় সংস্থাটি। যেখানে নতুন নিবন্ধিত দলগুলোকেও রাখা হবে।
ইসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। কমিশন ঘোষিত রোডম্যাপ অনুযায়ী- নতুন দলের নিবন্ধন গেজেট প্রকাশ ২৩-৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে এবং সংলাপ শুরু হবে মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে ও চলবে অক্টোবরজুড়ে।
কর্মকর্তারা জানান, নিবন্ধনে আগ্রহী নতুন রাজনৈতিক দলগুলোর বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে তদন্ত কার্যক্রম শেষ হয়েছে। এখন তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করছে কমিশন। পরে নিবন্ধনযোগ্য দলের ব্যাপারে জাতীয় দৈনিকে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। দলের নাম বা অন্যকোনো বিষয়ে আপত্তি থাকলে তা শুনানি করে নিষ্পত্তি করবে ইসি। এ মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে তা শেষ করার কথা রয়েছে। এরপর হবে গেজেট।
অন্যদিকে ইসির পরিকল্পনা অনুযায়ী নির্বাচনী সংলাপ এক থেকে দেড় মাসের মধ্যে কয়েকটি ধাপে শেষ করা হবে। সেখানে অংশীজন হিসেবে রাজনৈতিক দল, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, গণমাধ্যমকর্মী, নির্বাচন পর্যবেক্ষক, নির্বাচন বিশেষজ্ঞ ও আহত জুলাইযোদ্ধারা থাকবেন।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ৩০ সেপ্টেম্বর বা দু-একদিন পর সংলাপ শুরু হতে পারে। এখন অংশীজনদের মধ্যে গণমাধ্যমের প্রতিনিধি, নির্বাচন বিশেষজ্ঞসহ সংশ্লিষ্টদের আমন্ত্রণ জানাতে তালিকা তৈরির প্রক্রিয়া চলছে। দলগুলোর কাছে সংলাপের সূচি নির্ধারণের ৭ থেকে ১০ দিন আগে চিঠি পাঠানোর পরিকল্পনা রয়েছে। চিঠিতে আমন্ত্রণ জানানোর পাশাপাশি কতজন প্রতিনিধি অংশ নেবেন তা এবং লিখিত মতামত চাওয়া হবে। সাপ্তাহিক, পূজা ও অন্যান্য ছুটি বিবেচনায় রেখে অক্টোবরজুড়ে সংলাপ চলতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্র অনুযায়ী, রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত না নিয়ে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কারে কমিশনের সুপারিশ ও নিজস্ব প্রস্তাব মিলিয়ে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ (আরপিও) সংশোধনের বিষয়টি এরই মধ্যে আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছে ইসি। এ ছাড়া দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে অস্বস্তি রয়েছে সব মহলে। এ দুটি বিষয় ছাড়াও প্রশাসন ও পুলিশের রদবদল এবং ইসির ভূমিকা ও কর্তৃত্ব নিয়ে বরাবরই সংলাপে সরব থাকে দলগুলো।
বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত দল রয়েছে ৫০টি। এগুলো ছাড়াও নতুন দলগুলোর কাছে সংলাপে অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের বিষয়ে মতামত চাইবে ইসি।