ঢাকা রোববার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

সুষম খাদ্যে কমবে গবাদিপশুর মিথেন নির্গমন: উপদেষ্টা

সুষম খাদ্যে কমবে গবাদিপশুর মিথেন নির্গমন: উপদেষ্টা

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর একটি। বৈশ্বিক গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনে বাংলাদেশের অবদান নগন্য হলেও দেশীয় পর্যায়ে নির্গমন হ্রাসে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে।

মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘পাথওয়েস টু ইমিশন রিডাকশন ইন রাইস এন্ড লাইভস্টক সেক্টর ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক মিটিগেশন মার্কেটপ্লেস ও কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

ফরিদা আখতার বলেন, বাংলাদেশে ধান ও প্রাণিসম্পদ খাত শুধু খাদ্য সরবরাহ নয়, মানুষের জীবিকা ও অর্থনীতির সঙ্গে গভীরভাবে সম্পর্কিত। তবে এ খাত থেকেই উল্লেখযোগ্য পরিমাণে মিথেন ও নাইট্রাস অক্সাইড নির্গত হয়। বিশেষ করে গরু, মহিষ, ছাগল ও ভেড়ার মতো জাবরকাটা প্রাণীর হজম প্রক্রিয়া এবং মল ব্যবস্থাপনা থেকে নির্গত গ্যাস পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। বিশ্বজুড়ে মানবসৃষ্ট মোট গ্রীনহাউস গ্যাস নির্গমনের প্রায় ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ আসে এ খাত থেকে।

তিনি বলেন, সুষম খাদ্য ব্যবহারের মাধ্যমে গবাদিপশুর হজম প্রক্রিয়াজনিত মিথেন নির্গমন উল্লেখযোগ্যভাবে কমানো সম্ভব। এ জন্য বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) গরুর মিথেন নির্গমন পরিমাপ ও তা হ্রাসে বিভিন্ন গবেষণা চালাচ্ছে। উন্নত খাদ্য ব্যবস্থাপনা ও মানসম্মত খাদ্য উৎপাদনের মাধ্যমে নির্গমন হ্রাসের উপায় খুঁজছে প্রতিষ্ঠানটি।

উপদেষ্টা আরও বলেন, আধুনিক জাতের ধান চাষে অতিরিক্ত সার ও কীটনাশক ব্যবহারের কারণে পশুখাদ্যের সংকট তৈরি হয়েছে, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করছে।

কর্মশালায় আলোচকরা বলেন, ধান, দুধ ও মাংসের মতো পণ্যকে কম-কার্বন পণ্য হিসেবে আন্তর্জাতিক বাজারে ব্র্যান্ডিং করলে কৃষকের আয় ও জীবনমান বাড়বে। নির্গমন হ্রাস, পরিবেশ সংরক্ষণ ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় গবেষণা, প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও নীতিগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এখন সময়ের দাবি।

বিশ্ব ব্যাংক, আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম গবেষণা কেন্দ্র (সিমিট) এবং কনসালটেটিভ গ্রুপ ফন ইন্টারন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল রিসার্চের (সিজিআইএআর) যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত এ কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিশ্ব ব্যাংকের সিনিয়র এগ্রিকালচারাল স্পেশালিস্ট সন থান ভো। কী-নোট উপস্থাপন করেন সিমিটের সিনিয়র এগ্রিকালচারাল ইকোনোমিস্ট টি এস আমজাহ বাবু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব ব্যাংকের ডিভিশনাল ডিরেক্টর জ্যঁ পেসমে।

মিথেন নির্গমন,গবাদিপশু,উপদেষ্টা,সুষম খাদ্য
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত