অনলাইন সংস্করণ
১৮:৪৭, ০৮ অক্টোবর, ২০২৫
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, মহিষ দেশের সম্পদ হলেও দীর্ঘদিন অবহেলিত ছিল। আর ভবিষ্যতে এ অবহেলা যেন না ঘটে, তা নিশ্চিত করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে।
তিনি বলেন, মহিষের দুধ থেকে শুধু দই নয়, চিজসহ বিভিন্ন পণ্য উৎপাদনের প্রশিক্ষণ দিলে খামারিদের আয়ের নতুন সুযোগ সৃষ্টি হবে। এসব পণ্য রপ্তানিযোগ্য হিসেবেও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
সাভারের মহিষ প্রজনন ও উন্নয়ন খামারে বাংলাদেশ বাফেলো অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজিত “বৈজ্ঞানিক সম্মেলন-২০২৫”-এ প্রধান অতিথির বক্তৃতার সময় উপদেষ্টা এই মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, কৃষি ও প্রাণিসম্পদ মিলিয়ে খাদ্য উৎপাদন গড়ে ওঠে। কিন্তু কীটনাশক ও আগাছানাশকের ব্যবহারে মহিষের চারণভূমি কমে যাচ্ছে, যা খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি। তাই কীটনাশক ব্যবহারে সুনির্দিষ্ট নীতিমালা ও সমন্বিত পরিকল্পনা প্রয়োজন।
উপদেষ্টা বলেন, গবাদিপশুর তালিকায় মহিষকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। প্রাণিসম্পদ খাতে মহিষের অবমূল্যায়ন উদ্বেগজনক; চারণভূমির অভাব মহিষ পালনে বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সম্মেলনে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদের ডিন প্রফেসর ড. মো. রুহুল আমিন গেস্ট অব অনার হিসেবে বক্তব্য দেন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব নীলুফা আক্তার, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মো. আবু সুফিয়ান এবং বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাকিলা ফারুক।
সেমিনারে ভারত ও ইতালি থেকে অতিথি বক্তারা প্রান্তিক কৃষক ও টেকসই দুধ উৎপাদনের অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করেন। এতে বিজ্ঞানী, সরকারি ও বেসরকারি কর্মকর্তা, কৃষ্ণক প্রতিনিধি এবং মহিষ সেবাদানকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
দুপুরে উপদেষ্টা সাভারের কেন্দ্রীয় গো-প্রজনন ও দুগ্ধ খামার চত্বরে নবনির্মিত কেন্দ্রীয় কৃত্রিম প্রজনন ল্যাবরেটরি উদ্বোধন করেন এবং এর কার্যক্রম ও আধুনিক সুবিধা পরিদর্শন করেন।