
আগামী ফ্রেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে জানিয়ে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেছেন, এই নির্বাচন বাস্তবায়নে নির্বাচন কমিশন কোনো বাঁকা পথে যাবে না। কারো পক্ষে বা উদ্দেশ্যমূলকভাবে কোনো কাজ করবে না। এটা নির্বাচন কমিশিনের ‘কমিটমেন্ট’ বা ওয়াদা। এই সাহস কমিশনের আছে।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় এফআইভিডিবি’র হল রুমে ‘নির্বাচন প্রক্রিয়ায় ভোট গ্রহণকারী কর্মকর্তাদের দায়িত্ব পালনে চ্যালেঞ্জসমূহ নিরূপণ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ইসি আনোয়ারুল বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে আমরা বদ্ধপরিকর। এই নির্বাচনকে যেনতেন হতে দেওয়া যাবে না। আগামী ফ্রেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন হবে। সারা পৃথিবীর মানুষ এই নির্বাচনের দিকে থাকিয়ে আছে।
তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর একটি ভঙ্গুর দেশে আমরা যে এই পরিবেশে বসতে পেরেছি এ্টাই বেশি। নির্বাচন নির্দিষ্ট সময়েই অনুষ্ঠিত হবে। এটা পরিষ্কার বার্তা যে, রোজার আগে ফেব্রুয়ারীতে নিবাচন অনুষ্ঠিত হবে। সরকার এ বিষয়ে খুবই সচেতন। পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোও এ বিষয়ে ভালোভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্য করে নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন কমিশন আপনাদের সাথে আছে। আপনারা একটি সুষ্ঠু নির্বাচন পরিচালনায় সব ধরণের পরিবেশ পাবেন। নির্বাচন আয়োজনকারী কর্মকর্তাগণের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে। আমাদেরকে (কর্মকর্তাগণকে) পরিষ্কার ও নিরপেক্ষ থাকতে হবে। আপনার সকল কর্মকর্তাগণ আপনাকে সহযোগিতা করবে।
তিনি আরও বলেন, আপনাকে সাহসের সাথে নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে। নির্বাচন কমিশন, পুলিশ, আনছারসহ সবধরণের মানুষ আপনার পাশে আছে। সুনামগঞ্জে ৫০৯টি দুর্গম কেন্দ্রের জন্য আলাদা বাজেট করা হবে বলেও জানান তিনি।
হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে ইসি আনোয়ারুল বলেন, কেউ এই নির্বাচনকে কলঙ্কিত বা কলুষিত করার চেষ্টা করলে তাকে রেহাই দেওয়া হবে না। পরিষ্কার ঘোষণা, তিনি যত বড় বাহাদুরই হোক না কেন, যত ক্ষমতাশালী হোক না কেনো নির্বাচন কমিশন কোনো কম্প্রমাইজ করবে না।
তিনি বলেন, এবারের কনসেপ্ট হচ্ছে, আমাদের প্রিজাইডিংগণই হচ্ছেন- চিফ ইলেকশন কমিশনার। আমরা তাদের বিষয়টি খ্বুই গুরুত্ব সহকারে দেখছি। দেশকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নিয়ে যাওয়ার আহ্বান করেন এই নির্বাচন কমিশনার।