অনলাইন সংস্করণ
১২:৪৫, ১৬ নভেম্বর, ২০২৫
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য পরিবেশে আয়োজন করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সহযোগিতা ও পরামর্শ চেয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন একা এই বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পন্ন করতে পারে না। বিশেষ করে জাতীয় নেতৃবৃন্দ, যাদের সরাসরি ভোটারদের প্রভাবিত করার ক্ষমতা রয়েছে, তাদের সহযোগিতা অপরিহার্য।
রোববার (১৬ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্যে সিইসি এই আহ্বান জানান।
তিনি উল্লেখ করেন, দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে কমিশনকে অনেক বড় ও চ্যালেঞ্জিং কাজে হাত দিতে হয়েছে। কাজের চাপের কারণে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে কিছুটা বিলম্ব হয়েছে বলে তিনি স্বীকার করেন।
সিইসি জানান, ভোটার তালিকা হালনাগাদ একটি বিশাল কর্মযজ্ঞ ছিল। প্রায় ৭৭ হাজার লোক মাঠে কাজ করেছে। এছাড়া প্রায় ২১ লাখ মৃত ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে এবং ৪০ লাখেরও বেশি লেফট আউট ভোটারকে শনাক্ত করে তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
নতুন উদ্যোগ ও ইনিশিয়েটিভের বিষয়ে তিনি বলেন, ডায়াসপোরাদের ভোটদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে, যা অত্যন্ত জটিল এবং নতুন একটি উদ্যোগ। নির্বাচনী দায়িত্বে নিয়োজিত প্রায় ১০ লাখ লোক যাতে নিজেরাও ভোট দিতে পারেন, সেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দেশের বাইরে পোস্টেড সরকারি চাকরিজীবীদের ভোটদানের ব্যবস্থা এবং কারাগারে থাকা নাগরিকদের ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা নিয়েও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার বিলম্ব প্রসঙ্গে সিইসি বলেন, কাজের চাপের কারণে আলোচনা কিছুটা দেরিতে শুরু হয়েছে। তবে নির্বাচনী সংস্কার কমিশন তাদের পক্ষ থেকে কাজটি অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে গেছে। সংস্কার কমিশনের রিপোর্ট দেওয়ার আগে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে, বিশেষ করে রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে, ৮০টিরও বেশি সংলাপ হয়েছে। একইসঙ্গে সরকারের পক্ষ থেকেও সংস্কার কমিশনের কিছু বিষয় স্ব-উদ্যোগে বাস্তবায়নের ঘোষণা ছিল।
সিইসি নির্বাচনী আচরণ বিধিমালার গুরুত্বও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আচরণ বিধিমালা তৈরি করার পর তা দীর্ঘদিন ওয়েবসাইটে রাখা হয়েছিল এবং রাজনৈতিক দলগুলোর লিখিত মতামত নিয়ে এতে সমন্বয় করা হয়েছে। একটি সুন্দর নির্বাচন অনেকাংশে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা সুষ্ঠুভাবে অনুসরণ করার ওপর নির্ভর করে।
তিনি রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকে অনুরোধ করেন, আচরণ বিধিমালা মনোযোগ দিয়ে পড়তে এবং তাদের দলের কর্মীদের কাছে প্রচারের ব্যবস্থা করতে।