অনলাইন সংস্করণ
১৭:৩৫, ২১ নভেম্বর, ২০২৫
রাজধানীর পল্লবীতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে যুবদল নেতা গোলাম কিবরিয়াকে হত্যা মামলার এক আসামি ডিবি হেফাজতে মারা গেছেন। এই ঘটনায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে।
ডিএমপির মিডিয়া বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, গত সোমবার (১৭ নভেম্বর) পল্লবীতে গোলাম কিবরিয়াকে গুলি করে হত্যা করা হয়। নিহতের স্ত্রী পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন এবং মামলাটি সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে পরে ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়।
মামলার অগ্রগতির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) শরীয়তপুর জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে নজরুল, মাসুম ও জামান নামে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি। জিজ্ঞাসাবাদে তারা হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং কিলিং মিশনে ব্যবহৃত অস্ত্র ও গুলির অবস্থান তাদের সহযোগী মোক্তার হোসেনের কাছে রয়েছে বলে জানায়।
ডিসি তালেবুর রহমান জানান, একইদিন সন্ধ্যায় পল্লবী এলাকায় একটি গ্যারেজে অভিযান চালানো হলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মোক্তার দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে আটক করা হয়। এসময় উত্তেজিত জনতা তাকে কিল-ঘুষি মারলে তিনি আহত হন। পরে তার দেখানো মতে পল্লবীর একটি রিকশা গ্যারেজ থেকে আট রাউন্ড পিস্তলের গুলি উদ্ধার করা হয়।
আটকের পর মোক্তার হোসেনকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়। রাত দেড়টার দিকে অসুস্থ বোধ করলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছাড়পত্র দেওয়ার পর তিনি আবার ডিবি কার্যালয়ে ফিরেন।
শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে খাবারের জন্য ডাকাডাকি করলে কোনো সাড়া না মেলায় তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় ডিএমপি অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. সরওয়ারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। কমিটিকে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।