ঢাকা সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

রপ্তানি খাত শক্তিশালী করতে গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো: বাণিজ্য উপদেষ্টা

রপ্তানি খাত শক্তিশালী করতে গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো: বাণিজ্য উপদেষ্টা

গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো ২০২৫ ঢাকা’র উদ্বোধন করেছেন বাণিজ্য, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন এবং বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

সোমবার (১ নভেম্বর) সকালে পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত “গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো ২০২৫ ঢাকা” এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শিল্প এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

পূর্বাচলের বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টার (বিগ ওয়েভ) প্রাঙ্গণে আয়োজিত এক্সপোতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো আমাদের আটটি সবচেয়ে সমৃদ্ধ রপ্তানি খাতকে এক ছাদের নিচে একত্রিত করে।

এর মাধ্যমে বাংলাদেশ বৈশ্বিক মূল্য শৃঙ্খলে তার একীকরণকে শক্তিশালী করতে পারবে এবং রপ্তানি পণ্যের ধরন ও বাজার উভয় ক্ষেত্রেই সম্প্রসারণ ঘটাতে সহায়তা করবে। এটি আমাদের জাতীয় অগ্রাধিকারগুলিকে সমর্থন করে, কারণ আমরা আরও প্রতিযোগিতামূলক, স্থিতিস্থাপক ও ভবিষ্যত-প্রস্তুত অর্থনীতি গড়ে তোলার পথে এগিয়ে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, দ্রুত পরিবর্তনশীল বৈশ্বিক বাণিজ্য পরিবেশে রপ্তানি প্রবৃদ্ধি টিকিয়ে রাখতে পণ্যের বৈচিত্র্য আনা, সরবরাহ ক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক গড়ে তোলা জরুরি। এই এক্সপোটি সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে পরিকল্পনা করা হয়েছে—যেখানে দেশ-বিদেশের বিশেষজ্ঞ, নির্মাতা, নীতিনির্ধারক, বিনিয়োগকারী এবং উদ্ভাবকেরা একত্রিত হয়ে অর্থবহ আলোচনা, সহযোগিতা ও দীর্ঘমেয়াদী ব্যবসায়িক অংশীদারিত্ব গড়ে তুলবেন।

যেহেতু এটি গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপোর প্রথম সংস্করণ, তাই শুরুতেই সব প্রত্যাশা পূরণ নাও হতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, তবে উপস্থিতি ও নতুন উদ্যোগের প্রতি আস্থা আমাদের ভবিষ্যতের সংস্করণগুলোকে আরও কার্যকর, আরও ব্যাপক এবং আন্তর্জাতিকভাবে প্রতিযোগিতামূলক করে তুলতে উৎসাহিত করবে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ শিগগিরই স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণ করতে যাচ্ছে। এই মাইলফলক আমাদের অগ্রগতি তুলে ধরে, তবে নতুন চ্যালেঞ্জও নিয়ে আসছে। ধীরে ধীরে অগ্রাধিকারমূলক বাজার সুবিধা ও শুল্ক ছাড় হারাতে হবে। এ কারণেই পণ্য ও বাজার বৈচিত্র্য, প্রতিযোগিতামূলকতা বৃদ্ধি এবং দূরদর্শী বাণিজ্য নীতি গ্রহণের ওপর জোর দিতে হবে। এই প্রেক্ষাপটে গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো অত্যন্ত সময়োপযোগী ও কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

তিনি বলেন, এক্সপোটি নিয়মিত আয়োজনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত একটি ব্র্যান্ড হিসেবে গড়ে তোলা হবে—ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার মতো, যা ইতোমধ্যে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক পরিচয়ের প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা এই এক্সপোকে একটি বিশ্বমানের সোর্সিং প্ল্যাটফর্মে পরিণত করতে চাই, যা দেশের উৎপাদন সক্ষমতা উপস্থাপনের পাশাপাশি নতুন বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সুযোগ সৃষ্টি করবে।

দেশীয় উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করুন, বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের শক্তি প্রদর্শন করুন এবং বৈচিত্র্য ও উদ্ভাবনের নতুন পথ খুঁজে বের করুন। আপনাদের গতিশীলতা ও সংকল্প বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের ভবিষ্যৎকে রূপ দেবে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, রূপগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম এবং ওসি তরিকুল ইসলাম।

বাণিজ্য উপদেষ্টা,গ্লোবাল সোর্সিং এক্সপো,রপ্তানি খাত শক্তিশালী
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত