ঢাকা সোমবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ৭ পৌষ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

হাদি হত্যা: তদন্তের অগ্রগতি জানাতে সমন্বিত সংবাদ সম্মেলন আজ

হাদি হত্যা: তদন্তের অগ্রগতি জানাতে সমন্বিত সংবাদ সম্মেলন আজ

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান হাদিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তদন্তের সর্বশেষ অগ্রগতি জানাতে আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) সমন্বিত সংবাদ সম্মেলন করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এতে র‌্যাব, বিজিবি ও পুলিশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেবেন। সংবাদ সম্মেলনে এখন পর্যন্ত পাওয়া তথ্য, তদন্তের অগ্রগতি এবং গ্রেপ্তারকৃতদের বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে।

র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক উইং কমান্ডার এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী গণমাধ্যমকে জানান, সব সংস্থা যৌথভাবে তদন্ত পরিচালনা করছে এবং সেই তদন্তের সার্বিক চিত্র তুলে ধরতেই এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে।

এদিকে হাদিকে গুলির ঘটনায় দায়ের করা হত্যাচেষ্টা মামলাটি হত্যা মামলা হিসেবে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) এ নির্দেশ দেওয়া হয়। এর আগে গত ১৪ ডিসেম্বর রাতে পল্টন থানায় মামলাটি করেন ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের। মামলার এজাহারে নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের নেতা ফয়সাল করিম মাসুদসহ অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করা হয়।

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ঢাকা–৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছিলেন ওসমান হাদি। প্রচারণা শেষে ফেরার পথে তাকে গুলি করা হয়। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। তারা হলেন— প্রধান সন্দেহভাজন ফয়সাল করিম মাসুদের বাবা হুমায়ুন কবির, মা হাসি বেগম, স্ত্রী সাহেদা পারভীন সামিয়া, শ্যালক ওয়াহিদ আহমেদ শিপু, বান্ধবী মারিয়া আক্তার লিমা, সহযোগী মো. কবির ওরফে দাঁতভাঙা কবির, মো. ফয়সাল এবং গুলির ঘটনায় ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের মালিক আব্দুল হান্নান।

এ ছাড়া সীমান্ত দিয়ে অবৈধ লোক পারাপারে (মানবপাচার) জড়িত সঞ্জয় চিসিম ও সিবিয়ন দিও এবং ফয়সালকে পালাতে সহায়তাকারী মো. নুরুজ্জামান নোমানীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলার ঘটনায় দুইজন গাড়িচালককে সাক্ষী করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ওসমান হাদি ছিলেন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক। ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে তিনি রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন ‘ইনকিলাব মঞ্চ’ শুরু করেন এবং প্রতিষ্ঠা করেন ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার।

গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে রিকশায় থাকা অবস্থায় মোটরসাইকেলে আসা এক আততায়ী হাদির মাথায় গুলি করে। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সিঙ্গাপুর নেওয়া হলে ছয় দিন পর গত বৃহস্পতিবার তিনি সেখানে মারা যান। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে তার মরদেহ দেশে আনা হয়।

গতকাল শনিবার দুপুরে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিকের ইমামতিতে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজা শেষে বিকেল ৩টা ২০ মিনিটের দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে তাকে দাফন করা হয়।

শরীফ ওসমান বিন হাদি,হত্যা,তদন্ত,সংবাদ সম্মেলন,তদন্ত সংস্থা
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত