
সুদানে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় নিহত সেনাবহিনীর মেস ওয়েটার কিশোরগঞ্জের জাহাঙ্গীর আলমের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় জেলার পাকুন্দিয়া উপজেলায় তার নিজ গ্রাম তারাকান্দিতে দাফন করা হয়। এর আগে বিকাল সাড়ে ৪টায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে জাহাঙ্গীর আলমের লাশ পাকুন্দিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আনা হয়। তারপর সড়ক পথে নেওয়া হয় গ্রামের বাড়ি তারাকান্দিতে। সেখানে জানাজা শেষে দাফনের মাধ্যমে শেষ বিদায় জানানো হয় জাহাঙ্গীর আলমকে।
২০১৪ সালের অক্টোবর মাসে সেনাবাহিনীতে সৈনিক পদে যোগ দেন জাহাঙ্গীর আলম। শান্তিরক্ষা মিশনে দায়িত্ব পালনের জন্য চলতি বছরের ৭ নভেম্বর সুদানের আবেই শহরে যান তিনি।
জাহাঙ্গীর আলম তারাকান্দি গ্রামের হযরত আলীর ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে জাহাঙ্গীর ছিলেন মেঝ। বড় ভাই মো. মোস্তফা প্রবাসী এবং ছোট ভাই মো. শাহিন মিয়া কৃষিকাজ করেন। পরিবারে বাবা-মা, দুই ভাই, স্ত্রী রুবাইয়া আক্তার ও তিন বছর বয়সী একমাত্র ছেলে ইরফানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন জাহাঙ্গীর আলম। তাকে না ফেরার দেশে বিদায় জানিয়ে শোকে স্তব্ধ স্বজন ও এলাকাবাসী। নিহতের বাবা মো. হযরত আলী বলেন, তার অন্য এক ছেলেকে যেন সেনাবাহিনীতে চাকরি দেওয়া হয়।