ঢাকা শুক্রবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১ পৌষ ১৪৩২ | বেটা ভার্সন

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ অর্জন: হাসনাত

তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ অর্জন: হাসনাত

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, প্রায় দেড় যুগের নির্বাসন ভেঙে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনকে ব্যক্তিগত কিংবা দলীয় অর্জনে সীমাবদ্ধ না রেখে বাংলাদেশের ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক সংগ্রামের একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হিসেবেই মূল্যায়ন করা উচিত।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি এ মন্তব্য করেন।

স্ট্যাটাসে হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন প্রমাণ করে একজন বাংলাদেশি নাগরিক ও রাজনৈতিক নেতার নিজ ভূমিতে ফেরার অধিকারকে রাষ্ট্রীয় দমন-পীড়নের মাধ্যমে চিরতরে ঠেকিয়ে রাখা যায় না। স্বৈরাচার যত শক্তিশালীই হোক, জনগণের রাজনৈতিক ইচ্ছাশক্তিকে স্থায়ীভাবে দমিয়ে রাখা সম্ভব নয়।

তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক ভিন্নমতের কারণে তারেক রহমান ও তার পরিবার যেভাবে রাষ্ট্রীয় নির্যাতনের শিকার হয়েছেন এবং দীর্ঘ নির্বাসনে বাধ্য হয়েছেন, তা গত দেড় দশকের কর্তৃত্ববাদী শাসনের একটি উন্মুক্ত দলিল। তবে তিনি মনে করিয়ে দেন, এই প্রত্যাবর্তন সম্ভব হয়েছে হাজারো শহীদের রক্ত, অসংখ্য আহত মানুষের ত্যাগ এবং গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে সৃষ্ট নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতার কারণে। এই বাস্তবতা কোনো ক্ষমতাকেন্দ্রিক অর্জন নয়, বরং জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত লড়াই থেকে অর্জিত বাস্তবতা।

এনসিপির এই নেতা বলেন, অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে এমন একটি বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে, যেখানে ভিন্নমত কোনো অপরাধ নয় বরং অধিকার হিসেবে বিবেচিত হবে। রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে কাউকে রাষ্ট্রীয় নিপীড়নের শিকার হতে হবে না; বরং রাষ্ট্রই নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। নতুন বাংলাদেশে গণতন্ত্র কেবল নির্বাচনের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং মত প্রকাশের স্বাধীনতা, সংগঠিত হওয়ার অধিকার এবং ন্যায্য রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার পরিবেশ নিশ্চিত করাই হবে গণতন্ত্রের মূল ভিত্তি।

তিনি বলেন, বিগত দেড় দশকের অবরুদ্ধ রাজনৈতিক পরিসর ভেঙে মুক্ত বাংলাদেশের যে পথে দেশ এগোচ্ছে, সেখানে আইনের শাসন ও রাজনৈতিক অধিকার নিশ্চিত করাই মূল লড়াই। এই লড়াই যেন কোনো ব্যক্তি বা দলের মধ্যে সীমাবদ্ধ না থাকে এবং জনগণের সার্বভৌমত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠা পায়, সেটি নিশ্চিত করাও প্রত্যেক রাজনীতিবিদের দায়িত্ব।

হাসনাত আবদুল্লাহ মনে করেন, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের চর্চাকে আরও শক্তিশালী করবে। তিনি বলেন, নতুন রাজনৈতিক বাস্তবতায় সহাবস্থান, পারস্পরিক শ্রদ্ধা এবং সুস্থ রাজনৈতিক প্রতিযোগিতার সংস্কৃতি গড়ে তোলাই এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

স্ট্যাটাসে তিনি তারেক রহমানকে স্বাগত জানান এবং একই সঙ্গে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করেন।

তিনি বলেন, দ্রুত সুস্থ হয়ে খালেদা জিয়া যেন ফিরে এসে ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে অসম্পূর্ণ লড়াই পূর্ণ করার দিকনির্দেশনা দিতে পারেন, সেই প্রত্যাশাই করেন।

পাশাপাশি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ বিনির্মাণের সংগ্রামে তারেক রহমানের সক্রিয় অংশগ্রহণ জনগণের প্রত্যাশা ও ইতিহাসের দায় পূরণে ভূমিকা রাখবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।

হাসনাত,গুরুত্বপূর্ণ অর্জন,গণতান্ত্রিক আন্দোলন,তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত