
ইসলামি বক্তা ও জামায়াতের নেতা মুফতি আমির হামজা কুষ্টিয়া সদর উপজেলার বটতৈল ইউনিয়নের বড়িয়া জামে মসজিদে এক ঘটনার পর মিডিয়ায় প্রচারিত সংবাদকে ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা’ দাবি করেছেন। তিনি বলেছেন, ওই ঘটনায় প্রচারিত অভিযোগের কোনো সত্যতা নেই।
গতকাল আসর নামাজের পর ওই মসজিদে ঘটে যাওয়া ঘটনাটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা আলোচনা চলছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে দাবি করা হয়— মুফতি হামজা মসজিদে দলীয় রাজনৈতিক বক্তব্য দেওয়ায় স্থানীয় এক বিএনপি নেতার সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়।
তবে রবিবার (২৬ অক্টোবর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে মুফতি আমির হামজা এসব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “গতকাল আসর নামাজ পর মসজিদে বিএনপির নেতার সাথে ঘটা ঘটনাটি মিডিয়াতে যেভাবে এসেছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি ১০ লক্ষ টাকার চ্যালেঞ্জ করছি— কেউ যদি প্রমাণ দিতে পারে যে আমি মসজিদে দলীয় রাজনীতি করেছি, তাহলে আমি ১০ লক্ষ টাকা দেব।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনী এলাকায় গণসংযোগ চলাকালে আসরের আজান হলে আমি নামাজের জন্য মসজিদে প্রবেশ করি। নামাজ শেষে স্থানীয়রা কুরআন থেকে কিছু আলোচনার অনুরোধ জানান। আমি কুরআনের একটি আয়াত তেলাওয়াত করে তার অনুবাদ ব্যাখ্যা করছিলাম, তখন স্থানীয় এক বিএনপি নেতা হুশিয়ারি দিলে সাধারণ মুসুল্লিরা সেটি মেনে নিতে পারেনি।”
মুফতি হামজা দাবি করেন, তিনি কোনো দলীয় বক্তব্য দেননি, বরং কুরআনের আলোচনাই করছিলেন। তিনি বলেন, আমি যদি জামায়াতের নামে বা আমাকে ভোট দেওয়ার কথা বলতাম, তাহলে বাধা দিলে সেটা মেনে নিতাম।
তিনি ঘটনাটিকে ‘খুবই দুঃখজনক’ বলে উল্লেখ করে বলেন, “আওয়ামী ফ্যাসিস্ট আমলে কুরআনের কথা বলতে গেলেও বাধা দেওয়া হতো। জুলাই পরবর্তী দেশে একই পরিস্থিতির মুখে পড়ব, এটা আশা করিনি।”
মুফতি হামজার দাবি, বর্তমানে ইসলামি আলোচকরা কুরআনের রাজনৈতিক ও রাষ্ট্রসংক্রান্ত আয়াত তাফসিরের মাধ্যমে আলোচনা করতে গেলেও “রাজনৈতিক” বলে ট্যাগিং করে বাধা দেওয়া হচ্ছে, যা কুরআনের বিরুদ্ধাচারণ বলে তিনি মন্তব্য করেন।
তিনি আরও বলেন, “ফ্যাসিস্ট আমলে আমরা আলেমরা অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছি। জুলাই আন্দোলনে হুজুরদের অবদান ছিল গুরুত্বপূর্ণ। এরপরও এখন বৈষম্যের শিকার হতে হচ্ছে, যা দুঃখজনক।”