প্রিন্ট সংস্করণ
০০:০০, ২৩ আগস্ট, ২০২৫
এক অকম্মা মহিলা আমি
সারাদিন কাজের কাজ কিছু করি না
ভোর পাঁচটার আগে ঘুম থেকে উঠে
সকলের জন্য নাশতা বানিয়ে
বরকে গুছিয়ে অফিস পাঠাই
এরপর তিন ছেলেমেয়েকে নাশতা খাইয়ে
স্কুল পৌঁছে দিই।
এরই ফাঁকে নিজে কিছু খেয়ে নিই দৌড়ে দৌড়ে।
তারপর রান্নাবান্না, বাসার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা
সবার কাপড় গুলো কাচিয়ে নেওয়া।
দুপুরে যদি বা শরীর এলিয়ে আসে ভাতঘুমের জন্য
কিন্তু স্বামী আমার সারাদিন পরিশ্রম করে
অফিস থেকে ফিরবে... মাথায় চিন্তা
বিকেলের স্ন্যাকস, হোম টিউটরের নাশতা।
এরপর সামান্য কিছু বিচ্যুতি ঘটলেই-
স্বামীর দম্ভোক্তি- খাও তো বসে বসে
কাজের কাজ কিছুই কর না।
হ্যাঁ ইলেকট্রিক বিল, বাচ্চাদের বেতন আমিই দিয়ে আসি,
তথাপি ভাই টাকা তো কামাই করি না।
একটা শাড়ি যদি কিনতে চাই- স্বামীর মন জুগিয়ে তবেই
যদি বাবা-মা, ভাই-বোনকে কিছু দিতে হয়
তবে আর রক্ষে নেই এই গদর্ভ রমণীর।
পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ অকর্মা প্রাণী বুঝি এই হাউজওয়াইফ!
যে এক বিরতিহীন বাস; কিন্তু কোনো কাজ করে না।
বিধাতা এমন কদাকার গাঁধার জীবন কেন দিলে!