প্রিন্ট সংস্করণ
০০:০০, ২৩ আগস্ট, ২০২৫
মধ্যরাতে ভূতুড়ে শহরে
ঢাকার মধ্যরাতে। এখানে কেউ ঘুমায় না-
তবে যেন কেউ নেই!
চর্বিযুক্ত বাদামি বাতাস, মুখে নিঃশ্বাস নেওয়া হয় শুধু
লক্ষ-হাজার প্রবাহিত আত্মার মধ্যে। এটি কুঁচকেই যায়।
এ-শহরের নাসারন্ধ্রে ভূতুড়ে শব্দ বাজে-ব্লাক-হোলের মতো।
কঠিন ইস্পাত চোখ আমার চিন্তায় প্রবেশ করে চলে যায়
আমার পেছনে অনেক অজানা মন্ত্র ফিসফিস করে
কাঁপতে কাঁপতে আমি সাগরের দিকে নামলাম
জীবনের সন্ধানে।
আমার পায়ের চারপাশে মৃত ঢেউ আছড়ে পড়ে
আমি জলের দিকে মুখ ফিরিয়ে ভোরের অপেক্ষায়-
কেউ আসে না!
নিয়তি
সোনালি, তোমার কথা ভেবে ব্যথায় হৃদয় ছটফট
ভেতরে ভিসুবিয়াসের লাভা, অনির্বাণ শিখা
দুদণ্ডের বিরহেও করে তোলে আকুল
প্রতিটি সময়
নিয়তি তবুও দূরে টেনে নিয়ে যায়!
সোনালি, মনে পড়ে সুরমাপাড়ের গল্প
মনে পড়ে নীলাচলের গল্প-
জবা ফুল খোঁপায় মেখে দেওয়ার গল্প
তোমার উষ্ণ স্পর্শ নিয়ে মিথ্যা বলিনি
তোমার প্রতারক আলিঙ্গন নিয়ে সত্য বলিনি।
সোনালি, পূর্বদিকে নীল পাহাড় মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে
মেঘদল খেলছে শরীরজুড়ে
আরও পূর্বে সূর্যোদয়, পাহাড়ের ঢেউ, নীল প্রসারিত
সীমাহীন নীল, দ্যুতিময়
উপত্যকায় জীবন-সংগ্রাম
নীল জরি স্বপ্নের মতো জেগে ওঠে।
সোনালি, তবুও তুমি অন্তহীন আবেদন
তোমার নিরবধি মুখ তো কুতুবদিয়ার বাতিঘর
অন্ধকারকে তাড়া করে সব সময়।