দীর্ঘ আড়াই বছর পর পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলার সরকারি অনুমোদিত পর্যটন স্পটগুলো। পাহাড়ে সশস্ত্র সংগঠনের তৎপরতার কারণে ২০২২ সালের অক্টোবর থেকে এসব এলাকায় ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। ঈদুল আজহা উপলক্ষে টানা ১০ দিনের সরকারি ছুটিতে মুখরিত ছিল বান্দরবানের পর্যটন কেন্দ্র জেলা প্রশাসন পরিচালিত নীলাচল, মেঘলা প্রান্তিক লেক, শৈল প্রপাত, চিম্বুক, নীলগিরি রুমার বগালেক পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে পর্যটকের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। পাহাড়কন্যা খ্যাত এই জেলায় রয়েছে অসংখ্য দর্শনীয় স্থান এবং সরকারি, বেসরকারি উদ্যোগে গড়ে উঠেছে অসংখ্য পর্যটন স্পষ্ট যা প্রতিনিয়ত পর্যটকদের মুগ্ধ করে। আঁকাবাঁকা পাহাড়ি সড়ক পথ, উঁচুনিচু সবুজ বনভূমি, নদী, ঝর্ণা আর জলপ্রপাতের অপরূপ মিলনস্থল এই জেলা প্রকৃতিপ্রেমী ভ্রমণপিপাসুদের জন্য যেন এক স্বর্গরাজ্য।
২০২২ সালে ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ), নামের একটি সশস্ত্র সংগঠনের তৎপরতার কারণে জেলার রোয়াংছড়ি, রুমা, থানচি ও আলীকদম উপজেলায় পর্যটকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে রোয়াংছড়ি ও আলীকদমের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও রুমা ও থানচিতে তা বহাল ছিল। অবশেষে দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর সীমিত পরিসরে রুমা ও থানচিতে ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।